তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় একই দিনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মৃত্যু (Bankura Accident) হল তিন জনের। দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। জখমদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Bishnupur Super Speciality Hospital) চিকিৎসা চলছে। 


কী জানা গেল?
দুটি ঘটনাই রবিবারের। এর মধ্য়ে একটি ঘটনায় মারা যান বাবা-ছেলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনন্দ মোহন শো দশ বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া থেকে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানে ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার সময় মড়ার ৩ নম্বর ক্যাম্পের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁর বাইকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন দু'জনই। জখম দুজনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের। অন্য দিকে বিষ্ণুপুর থানার বামুনবাঁধ এলাকায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানা যায়, এক আত্মীয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে বিষ্ণুপুর শহর থেকে সমাপ্তি লাহা নামের ওই মহিলা আরও দুজনের সঙ্গে বাইকে চড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বামুনবাঁধের কাছে একটি মারুতি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সমাপ্তি লাহা-সহ চার জন। আহত অবস্থায় তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা সমাপ্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম  তিনজনকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। এই রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা এখন নতুন কোনও বিষয় নয়। বস্তুত প্রায় প্রত্য়েক দিনই এই ধরনের খবর শিরোনামে উঠে আসে। 

আকছার দুর্ঘটনা...
গত কাল, রবিবারই এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়িতে। গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে বালককে পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে রবিবার সকালে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ধুন্ধুমার বাধে। ক্ষিপ্ত জনতা ঘাতক গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির দেবীনগর পাড়ায় মাঠের মধ্যে গাড়ি চালানো শিখছিলেন এক যুবক। সেই সময় সাইকেলে চড়ে বাড়ির পাশে দোকানে যাচ্ছিল ওই বালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি মাঠের বাইরে চলে এসে বালককে পিষে দেয়। এরপরই উত্তেজিত জনতা গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন:মর্মান্তিক! বন্ধ ঘরে চেয়ার থেকে উদ্ধার ছেলের পচাগলা দেহ, পাশের ঘরে শুয়ে অসুস্থ মা