সুজিত মন্ডল, নদিয়া : চোরাকারবারিদের কার্যকলাপ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার এমনই চোরাকারবারিদের একটি দল বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে নিয়ে আসছিল দুটি সাদা পূর্ণবয়স্ক ময়ূরকে (White Peacock)। তখনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় তারা। চোরাকারবারিদের কাছে থেকে দুটি সাদা ময়ূরকে (Peacock) উদ্ধার করেন বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা। যদিও পালিয়ে যায় ওই চোরাকারবারিরা। ঘটনাটি ঘটেছে (Nadia) নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারীর ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে। 


বিএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী গ্রাম কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারীতে দুজন ব্যক্তি বাজারের ব্যাগে করে দুটি সাদা পূর্ণবয়স্ক ময়ূর বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ময়ূর দুটিকে উদ্ধার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালেই উদ্ধার হওয়া পূর্ণবয়স্ক সাদা ময়ূর দুটিকে নদিয়া - মুর্শিদাবাদ বনবিভাগের অন্তর্গত রানাঘাট ফরেস্ট অফিসের কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দুটি ময়ূরই সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। তবে, যেহেতু চোরাপথে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে, তাই আগে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 


সীমান্তরক্ষীদের চোখ এড়িয়ে চোরাচালান লেগেই রয়েছে। কখনও হাতির দাঁত তো কখনও গন্ডারের খড়গ আবার কখনও বাঘের চামড়া। শত নিরাপত্তার পরও কোন না কোনও ফাঁক দিয়ে চোরাকারবার চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এর আগেও এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এছাড়াও মাত্র কয়েকমাস আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর থানা এলাকায় একটি বাড়িতে অন্যান্য পাখির মতো পোষা হচ্ছিল দেশের জাতীয় পাখিটিকে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় বনদফতরের কর্মীরা এসে ময়ূরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও বাড়ির লোকেরা দাবি করেন, ময়ূরটি কোনওভাবে তাদের গাড়ির সামনে এসে পড়ে। এরপরই সেটিকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা আরও দাবি করেন, ময়ূরটিকে বাড়িতে তাঁরা আটকে রাখেননি। আর পাঁচটা সাধারণ পাখির মতো নিজের ইচ্ছে মতো উড়ে বেড়াতো সে। পাশাপাশি বাড়িতে ময়ূর পোষা যে বেআইনি, তা তাঁদের জানা ছিল না বলেও দাবি করেন তাঁরা।