পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: র‍্যাগিং রুখতে নির্দেশিকার পরেও কেন পদক্ষেপ নয়? যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University Death) ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল ইউজিসি (UGC) বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল।


আজ বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ:
পড়ুয়ার প্রাণের বিনিময়ে টনক নড়ল যাদবপুরের? (Jadavpur) পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাধিক বৈঠক। দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। তলব করা হয়েছে মেন হস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে। ঘটনার বিবরণ জানতে প্রত্যক্ষদর্শী এক পড়ুয়াকেও করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে হতে পারে আলোচনা, খবর সূত্রের। এত ছাত্রের সামনে কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাইবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। 


কান্না রেজিস্ট্রারের:
পড়ুয়ামৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। তিনি বলেন, 'আমি অসুস্থ বলে কিছু জানতাম না। আমায় আধিকারিকরা বলেছিলেন, তাঁরা পরিস্থিতি সামলে নেবেন।'


হাইকোর্টে মামলা:
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।'আর কে রাঘবনের রিপোর্ট অনুযায়ী র‍্যাগিং রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ইউজিসিকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিক হাইকোর্ট', এমনটাই আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।


ভিডিওর খোঁজে পুলিশ:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার উপর সীমা ছাড়ানো মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রকে মানসিকভাবে হেনস্থা করার সময় ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় তথ্য মিলেছে। পুলিশের অনুমান, পরে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও। হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃত তিন জনের পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত আরও কয়েকজনের ফোন পুলিশের স্ক্যানারে, খবর লালবাজার সূত্রে।


চিঠি নিয়েও প্রশ্ন:
যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উঠে এসেছিল রহস্যময় এক চিঠির কথা। এবার সেটা ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। 'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, তারপরে জোর করে ওই ছাত্রকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে, খবর পুলিশ সূত্রের।  পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাতপরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ। 


আরও পড়ুয়া: 'উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক UGC', যাদবপুরের ঘটনায় হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা