কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য সরকারকেও নিশানা ধর্মেন্দ্র প্রধানের। UGC-র নিয়ম মানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য। যাদবপুরের পাঠানো রিপোর্টে UGC সন্তুষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে CC ক্যামেরা কেন বসানো হয়নি? রাজ্য সরকারও দায় এড়াতে পারে না। কলকাতায় এসে মন্তব্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Union Education Minister Dharmendra Pradhan)।
কড়া সমালোচনায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী: এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, 'ইউজিসি-র আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং সেলের ভূমিকা কী ছিল? বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসি ক্যামেরা কেন খুলে ফেলা হয়েছিল? বিশ্ববিদ্যালয় কেন বহিরাগতদের আখড়া হয়ে উঠেছে?' রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'ইউজিসি-র নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতর দায় এড়াতে পারে না। ভারত বিরোধী শক্তিকে দমন করতে রাজ্য সরকারকেই পদক্ষেপ করতে হবে।'
র্যাগিং নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে দিনকয়েকআগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে UGC। ১৬ অগাস্ট UGC-র তরফে পাঠানো এই চিঠিতে অত্য়ন্ত কড়া ভাষায় বলা হয়েছিল, যাদবপুর কর্তৃপক্ষ এর আগে অত্যন্ত সাদা-মাটাভাবে জবাব পাঠিয়েছে। তাতে কোনও ব্য়াখ্য়া দেওয়া হয়নি। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে পদক্ষেপ না নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে UGC. স্পষ্টভাবে ১২টি বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়ছে। আর এবার কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিলেই ইউজিসি-র নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছে কর্তৃপক্ষ। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, আইন মোতাবেক ইউজিসি-কে জবাব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
UGC জানতে চেয়েছে
অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর ও র্যাগিং রোধে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন নম্বর ভর্তির ব্রসিওর, নির্দেশিকায় ছাপা থাকে?
অনলাইন ফর্মে তার উল্লেখ থাকে? যাদবপুরে তা করা হয়ে থাকলে তার কপি পাঠাতে হবে।
র্যাগিং সংক্রান্ত বিধি নিষেধ ও শাস্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তারা যে অবহিত এই মর্মে কোনও হলফনামায় পড়ুয়াদের সই করানো হয়েছিল?
৬ নম্বর পয়েন্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, মৃত পড়ুয়া ও তার অভিভাবকের কাছ থেকে এই ধরনের হলফনামা নেওয়া হয়েছিল? হয়ে থাকলে তার প্রতিলিপি পাঠাতে হবে।
নবাগতদের ক্লাস শুরুর পর সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের যৌথ কাউন্সেলিং-এর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?
সিনিয়র ও জুনিয়রদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের যৌথ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হয়েছিল?
একজন করে ফ্য়াকাল্টি মেম্বার কি নিয়োগ করা হয়েছিল, যিনি নতুন ছাত্রদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলবেন? যিনি ওয়ার্ডেনকে নিয়ে আচমকা হোস্টেলে পরিদর্শনে যাবেন।
নবাগতদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল? সেখানে সিনিয়রদের প্রবেশে কি নজরদারি ছিল?
র্যাগিং-এর ঘটনা পর্যালোচনার জন্য, নতুন ছাত্ররা ভর্তি হওয়ার পর প্রথম তিন মাস ১৫ দিন অন্তর কি সমীক্ষা করা হয়?
আরও পড়ুন: Medinipur Weather: কখনও রোদ, কখনও মেঘ, দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টির পূর্বাভাস