নয়া দিল্লি: ভারতে (India) হাইস্পিড ট্রেন (High Speed Train) বলতে রাজধানী (Rajdhani Express), শতাব্দী (Shatabdi Express), দুরন্ত (Duranta Express) ছিল প্রথম সাড়িতে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) 'মেক ইন ইন্ডিয়া' (Make In India) প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় রেলওয়েতে (Indian Railways) এসেছে বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেন। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে এখনও। যদিও একাধিক ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে এই ট্রেন। তবে তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন। তাঁর কথায়, এই ট্রেন কোনও সামান্য ট্রেন নয়, বরং সেলিব্রেটি।                  


বন্দে ভারত-এ যাত্রা করতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। সেলফি থেকে সোশাল মিডিয়ায় রিল, বন্দে ভারত এখনও সামাজিক মাধ্যমে 'ট্রেন্ড'। এদিকে, পুজোর মুখে জোড়া 'বন্দে ভারত' পেল বাংলা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার হাওড়া থেকে আরও দ্রুত পৌঁছনো যাবে পাটনা ও রাঁচিতে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে নতুন বন্দে ভারতে যুক্ত করা হয়েছে নতুন বেশ কিছু ফিচার।


বাংলা যে দু'টি সেমি হাইস্পিড ট্রেন পেল সেগুলি হল হাওড়া-পাটনা ও হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।  নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রেকগুলিতে নতুন কিছু পরিবর্তন এনেছে রেল। রেলযাত্রাকে আরও আরামদায়ক করতেই এই উদ্যোগ।  


কী কী রয়েছে?


আসন আগের থেকে বেশি হেলানো যাবে। আসনের গদি তুলোর নরম। ফলে বেশি আরাম পাবেন যাত্রীরা।  


এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে আসনের রং লাল থেকে হচ্ছে নীল। পা রাখার জায়গাটি করা হয়েছে আরও আরামদায়ক। সিটের পিছন দিকে দেওয়া হয়েছে ম্যাগাজ়িন রাখার ব্যাগ। 


মোবাইল ফোনের চার্জিং পয়েন্ট এমন জায়গায় করা হয়েছে, যাতে আরও সহজে ফোনে চার্জ দিতে পারবেন যাত্রীরা। 


যাত্রীদের মালপত্র রাখার তাকগুলি সামান্য ছোঁয়াতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে।   


আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কামরায় যে যন্ত্র রাখা আছে, তা আরও উন্নত।


অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলি যাতে সহজে দেখা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


কামরার ভিতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও কামরার দরজাগুলি আগের তুলনায় আরও আধুনিক।


বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত এবং সুবিধাজনক।


চালকের সুবিধার জন্য আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেন থামানোর বোতামের জায়গা বদল করা হয়েছে। 


 


আরও পড়ুন, চাঁদের বুকে এখনও 'ঘুমিয়ে' বিক্রম, প্রজ্ঞান? ইসরোর ডাকে দিল কি সাড়া?