মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (UP Police Raid) অভিযান ঘিরে তুলকালাম। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারি ঘিরে সংঘাত বাধল উত্তরপ্রদেশ-বাংলা পুলিশের (UP Police Vs Bengal Police)। প্রতারণার অভিযোগে দুর্গাপুরে ডাককর্মীকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেটি আটকে দেয় আসানসোল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে কিছু না জানিয়ে অভিযানের অভিযোগ উঠেছে। 


যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিটি সেন্টারের পোস্ট অফিসে আসার সময় ওই ডাককর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ডাককর্মীর নাম মাখনলাল মিনা। তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। এদিন তিনি যখন পোস্ট অফিসে আসার পথে বেরিয়েছেন, তখন জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের উপর একটি ইনোভা গাড়িতে এসে চার জন এসে তাঁকে প্রথম মারধর করে ও তুলে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ ঘটনাটি দেখেছিলেন। তাঁরাই স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। তাঁর স্ত্রী এবং যে বাড়িতে মাখনলাল ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক ঘটনাস্থলে আসেন। পৌঁছয় পুলিশ। এর পর নাকা চেকিং শুরু হয়। পুলিশ সেই গাড়িটিকে ধাওয়া করে। আসানসোলের ডুবুরডিহিতে নাকা চেকিংয়ে আটকে পড়ে গাড়িটি। তখনই, গাড়িতে থাকা চার জন নিজেদের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। তখনই এই রাজ্যের পুলিশ তাঁদের প্রশ্ন করেন, কেন একজনকে এই ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কেন মানা হচ্ছে না? এর পরই দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁদের। সঙ্গে এও জানানো হয় যে কোর্টে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডেই যেন মাখনলাল মিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় এই রাজ্য থেকে। দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেন, 'এটি আসলে অপহরণের কোনও মামলা নয়। আগরা পুলিশ কমিশনারেট থেকে একটি টিম এসেছে। ওদের একটি মামলার সূত্রে আমাদের এখান থেকে একজনকে গ্রেফতার করতে এসেছিল। গ্রেফতারিতে প্রক্রিয়াগত কিছু ভুল রয়েছে। সেগুলি আমরা দেখে নিচ্ছি, যাতে প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক করে তারা নিয়ে যেতে পারে।' কিন্তু এভাবে রাজ্য পুলিশকে কিছু না জানিয়ে কেন অভিযান করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ?সূত্রের খবর, রফাসূত্রের খোঁজে গ্রেফতারি নিয়ে ২ রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে। 


আরও পড়ুন:বালুরঘাট পুর-এলাকায় অপরিশোধিত ভাবে সরবরাহ হচ্ছে পানীয় জল, সরব বিজেপি