সৌভিক মজুমদার, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও সুজন চক্রবর্তী, কলকাতা: চন্দন মণ্ডলই আসলে রঞ্জন। অবশেষে সব রহস্যের অবসান ঘটিয়ে আজ হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন উপেন বিশ্বাস (Upendra Nath Biswas)। প্রাক্তন সিবিআই (CBI) কর্তা এদিন আরও বলেন, এরকম হাজার হাজার রঞ্জন আছে, কেন্দ্রবিন্দুতে যে মাকড়সা আছে, তাকে ধরুক সিবিআই। 


রঞ্জন কে, খোলসা করলেন উপেন বিশ্বাস


২০২১’র এপ্রিলে, ফেসবুকে পোস্টে বোমা ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অনগ্রসর ও শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস। ভিডিও পোস্ট করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "প্রাক্তন সেনাকর্মী বলেন, স্যর আপনার বিধানসভা কেন্দ্রে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। এখানে রঞ্জন (নাম পরিবর্তিত) প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারির চাকরি বিক্রি করেন।"


কিন্তু কে এই রঞ্জন? সে বিষয়ে তিনি অবশ্য এতদিন কিছু বলেননি। বুধবার প্রথমবার আদালতে এই রঞ্জনের রহস্যভেদ করলেন উপেন বিশ্বাস। আদালতে তিনি বলেন, রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মণ্ডল। তখন উপেন বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, "আপনি রঞ্জনের কথা বলে থেমে গেছেন কেন? আপনি কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি? আমরা আগেই তাঁকে ধরতে পারতাম।রঞ্জন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। আপনি সাহসী লোক। আপনি পূর্বাঞ্চলের অন্যতম ক্ষমতাশালী লোকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন।"


আরও পড়ুন: WB Assembly: প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও মুখ্যমন্ত্রী! বিল পাস বিধানসভায়


জবাবে উপেন বিশ্বাস বলেন, "দলে সমস্ত দায়িত্ব ভাগ করা ছিল, আমার কোনও দায়িত্ব ছিল না। ফলে, আমার কিছু করার ছিল না। আমি একজন CBI’এর প্রাক্তন আধিকারিক হয়েও এতটাই অসহায় যে, একজন কনস্টেবলকেও কোনও সাহায্যর জন্য বলতে পারি না। এটা কোনও ডাকাতির মামলা নয়।লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের বিষয়। তাই আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছি। আমি সব সময় CBI’কে কে সাহায্য করতে প্রস্তুত। তারা যে কোনও সময় আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই রকম হাজার হাজার রঞ্জন আছে। আমি চাই যে CBI এই দুর্নীতির মাথা পর্যন্ত পৌঁছে যাক। এই দুর্নীতির জালের কেন্দ্রবিন্দুতে যে মাকড়সা আছে, তাকেও ধরুক CBI। এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। এটা একজন ব্যক্তি সংগঠিত করতে পারেন না।"
গ্রাফিক্স আউট


প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে  CBI’এর SIT


উপেন বিশ্বাসের আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে  CBI’এর SIT গঠন করা নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।