কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ধর্মতলায় আপার প্রাইমারি (upper primary) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। ওয়াই চ্যানেলে বসার আগে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়লে, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ তুলে দেয় বলে অভিযোগ। 


আন্দোলনকারীদের দাবি, আট বছর আগে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দু-দুবার ইন্টারভিউও হয়েছে। কিন্তু ফলাফল সামনে আসেনি। কেন এত বিলম্ব? কেন এই ধরপাকড়? প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের প্রশ্ন, তাঁরা চলে যেতে ইচ্ছেপ্রকাশ করলেও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। 

নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়লে বহু পুলিশ জড়ো হয়ে যায়। জোর করে চাকরিপ্রার্থীদের একটি বেসরকারি বাসে তোলা হয়।                                                                                                                    

এক্সাইড মোড়ে টেট ২০১৪য় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ

এই ঘটনা মনে করাল, গত সপ্তাহে এক্সাইড মোড়ে টেট ২০১৪য় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ ও পুলিশি ধরপাকড়ের ঘটনা। গত ৯ নভেম্বর, দু’হাজার চোদ্দ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে এক্সাইড মোড়ে। পুলিশি ধরপাকড় চলাকালীন ঝরে রক্ত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। 


চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের কামড় , চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের ঘুষি, চাকরি চেয়ে চাকার নীচে, ফুটপাতে আন্দোলনকারীর, চ্যাংদোলা করে পুলিশ, রাজপথে রক্তারক্তি, চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশের তাড়া, বিক্ষোভ হঠাতে নাস্তানাবুদ পুলিশ - এমন অবাঞ্ছিত ছবি সামনে আসে। 


কবে শেষ হবে এই অনিশ্চয়তা?  কবে হাতে পাবেন নিয়োগপত্র? জানে না এই অসহায় মুখগুলো।