ঝিলম করঞ্জাই, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও মলয় চক্রবর্তী, কলকাতা: প্রকাশিত হয়েছে ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল সার্ভিসের ফল। সফলদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার একাধিক পড়ুয়া। রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের ৭ জন পড়ুয়া রয়েছেন কৃতীদের তালিকায়। 


UPSC-তে বাংলার জয়জয়কার! এবারের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বাংলা থেকে সফল হিসেবে উঠে এসেছে চৈতন্য খেমানি, ঋষভ সিং, ঈশান সিংহ-সহ একাধিক নাম।



  • চৈতন্য খেমানি- র‍্যাঙ্ক: ১৫৮

  • ঈশান সিংহ- র‍্যাঙ্ক: ২৩৪

  • ঋষভ সিং- র‍্যাঙ্ক: ২৯৪


IAS, IPS-এর মতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্য সর্ব ভারতীয় পরীক্ষার আয়োজন করে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা UPSC।  আর এই পরীক্ষার জন্য বাংলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করতে ২০১৪ সালে, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে  সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার তৈরি করে রাজ্য সরকার। 


এবার সেখান থেকেই ৭জন জায়গা করে নিয়েছে কৃতীদের তালিকায়। এদের মধ্যে রয়েছেন, শিলিগুড়ির খালপাড়ার বিদ্যাসাগর রোডের বাসিন্দা চৈতন্য খেমানি। এর আগে ২বার UPSC দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আশা হারাননি। এবার ১৫৮ ব়্যাঙ্ক করেছেন চৈতন্য।


সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে পড়ে স্বপ্ন পূরণ করেছেন ঈশান সিংহও। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ২৩৪ র‍্যাঙ্ক করেছেন তিনি। বজবজের মোল্লার গেটের সিংহ পরিবারে খুশির হাওয়া।   


২৯৪তম স্থানে নাম রয়েছে রাজারহাট নিউটাউনের (New Town) বাসিন্দা ঋষভ সিংহের। চতুর্থবারের চেষ্টায় সফল হলেও আশানুরূপ হয়নি ফল! তাই আবার UPSC পরীক্ষায় বসতে চান ঋষভ।এই তিন কৃতীই রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। 


এই স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান, রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি ও রাজ্যের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থ বলেন,রাজ্য সরকারের এই স্টাডি সেন্টারে পড়াশোনার খরচ একেবারে নামমাত্র। সাফল্যও নজরকাড়া। তাই বাইরে কোথাও না গিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে এখানেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন পড়ুয়ারা। www.csscwb.in এই ওয়েবসাইট থেকেই ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।                                       


আরও পড়ুন: Park Circus News: নতুন করে পার্ক সার্কাস মার্কেট তৈরির সিদ্ধান্ত পুরসভার, সরে যেতে নারাজ ব্যবসায়ীরা