আব্দুল ওয়াহাব, বসিরহাট: বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে। শনিবারের পর রবিবার আবার পেট্রল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশাল মিছিল করা হয় বসিরহাট শহরে। তবে প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এদিন পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি অবস্থান বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে হঠাৎই ঝামেলা বেঁধে যায়। অভিযোগ উঠেছে যবু তৃণমূল সভাপতি সুরজিত মিত্রের ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিধায়ককে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
রবিবার বিকেলে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার শহর ও পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার নেতা কর্মীদের নিয়ে পেট্রল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাট টাউন হল থেকে মিছিল শুরু করে বসিরহাট থানার সামনে শেষ হয় সেই মিছিল। সেখানে খানিকক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন বিধায়ক। কিন্তু তখনই নাকি সভার সামনে আচমকাই ঝামেলা লেগে যায়। যদিও অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ২ টোটো ইউনিউনের ঝামেলা হয়, তখনই সেই এলাকা খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।
রাজ্যর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক সুরজিত মিত্র এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘এমন অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। সেখানে টোটোর টাকা পয়সা নিয়ে ২ টোটো চালকের মধ্যে ঝামেলা হয়। কিন্তু বিধায়ককে ধাক্কা মারার ঘটনা একদমই সত্যি নয়।’ যাকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে সেই বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘আমাকেই টার্গেট করা হয়েছিল কিনা জানা নেই। তবে সেখানে যখন ঝামেলা হচ্ছিল, তখনই আমার দিকে প্রচুর মানুষের ভিড় চলে আসে। সেই পরিস্থিতিতে ধাক্কা লেগে যায় আমার। তবে পুরো বিষয়টা ইচ্ছেকৃত না বলেই আমার মনে হয়।’
জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘পুরো ঘটনার খবর আমার কানে এসেছে। তবে যাই হয়ে থাকুক না কেন, তা তদন্ত সাপেক্ষ।’