লখনউ: উত্তরপ্রদেশে এটিএসের অভিযানে গ্রেফতার ২ আল কায়দা জঙ্গি। ধৃত মিনহাজ ও মসরুদ্দিনের ডেরা থেকে উদ্ধার প্রেসার কুকার বোমা, পিস্তল। মানব বোমার মাধ্যমে নাশকতার ছক ছিল ধৃতদের। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। হাই অ্যালার্ট জারি, অযোধ্যা, লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের নানা শহরে।


উত্তরপ্রদেশের কাকোরিতে এটিএসে-এর রুদ্ধশ্বাস অভিযান। আর তাতেই ধরা পড়ল ২ আল কায়েদা জঙ্গি। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের অদূরে কাকোরি এলাকায় জঙ্গিরা আত্মগোপন করে আছে, এ খবর আগেই পৌঁছেছিল লখনউ এটিএসের কাছে। সেই সূত্র ধরেই অভিযানে নামে এটিএস। আর তাতেই ফাঁস মানব বোমার মাধ্যমে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা।


রবিবার সাতসকালে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস-এর কালো উর্দিধারী জওয়ানরা কাকোরি এলাকার এই বাড়ি ঘিরে ফেলে। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় খালি করে দেওয়া হয় আশেপাশের বাড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিনহাজ ও মসরুদ্দিন নামে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এটিএস। যে ঘরে, দু’জনে ডেরা বেধেছিল, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চোখ কপালে ওঠে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের। একে একে উদ্ধার হয়, প্রেসার কুকার বোমা, টাইম বোমা, পিস্তল, ডিটোনেটর এবং বিস্ফোরক।


উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), প্রশান্ত কুমার বলেন, নাশকতার জন্যই এই মডিউল তৈরি করা হয়েছিল। মিনহাজ আর মসিরুদ্দিন আর শাকিল - এই ৩টে নাম এখনও পর্যন্ত সামনে এসেছে। এরা উমর হলমুন্ডির নির্দেশে অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে ১৪ অগাস্টের আগে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার ছক কষেছিল। বিশেষ করে টার্গেট ছিল লখনউয়ের গুরুত্বপূর্ণ, জনবহুল এলাকা। মানব বোমা ব্যবহারের ছক ছিল।


স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী বর্ষে কি বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা? সেই নাশকতার ষড়যন্ত্রে সামিল আরও কারা কারা? এখন এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, মিনহাজ ও মসরুদ্দিনের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল। মুসা নামে এক জঙ্গির নামও জানতে পেরেছে এটিএস। কিছুদিন আগেই যার এনকাউন্টার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।