চোপড়া: দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে তেতে উঠছে বাংলা। এ বার ভরদুপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে গেল। চোপড়ায় এক তৃণমূলকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েক জন। তৃণমূল-বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিয়োগ উঠছে একদিকে, অন্য দিকে আবার এই ঘটনা ঘটনার নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্ববন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। ভরদুপুরে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Chopra Shootout)।
চোপড়ার দিঘাপানার ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে হচ্ছিল বৈঠক। সেই বৈঠক শেষ হতে সকলে যখন দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে আসছেন, সেই সময় আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাতে ফইজুল নামের ৭০ বছর বয়সি এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহতরাও তৃণমূলেরই কর্মী।
ওই বৃদ্ধের পরিবার জানিয়েছে, দলীয় কার্যালয় থেকে বেরনো মাত্রই গুলি ছোড়া হয়। তাতে সরাসরি বুকে গুলি লাগে ওই বৃদ্ধের। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে ওই বৃদ্ধের দেহ পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূলের আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আহত অবস্থায় তিন জনকে চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, বৈঠক চলাকালীন নির্বাচনী টিকিট বিতরণ ঘিরে বচসা বাধে। সেখান থেকেই একটি গোষ্ঠী, অন্যদের ল করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি তারা।
এর আগেও চোপড়ায় একাধিক বার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছে। ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্য়ুর খবরও সামনে আসে। এ বারের ঘটনায় ফের জেলায় তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলই প্রার্থী বেছে দেবে বলে এর আগে ঘোষণা করেছিল জোড়াফুল শিবির। তার পরেও টিকিট নিয়ে এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে, উঠছে প্রশ্ন।
এ নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, "বৈঠকে আলোচনা চলছিল। বচসা বাধে। তাতে তিন জন আহত হন। এর আগে ১৭ তারিখের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন, প্রার্থী কে হবেন দল ঠিক করবে। তাহলে তো বৈঠকের প্রয়োজনই ছিল না! বিশদ জানি না এখনও। তাই বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব আমি।"