সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জ মেডিকেলের হাসপাতাল (Raiganj Medical) লকআপ থেকে বিচারাধীন বন্দি পলাতক ( Undertrial Prisoner)।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক পাচার সংক্রান্ত মামলায় সে বিচারাধীন ছিল। তবে এই নিয়ে একাধিকবার বন্দি পালানোর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল চত্বরে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাতক ওই বন্দির নাম রোশন কুমার শাহ। বয়েস তার ২০ বছর। গত ১৬ মার্চ তাকে রায়গঞ্জ সংশোধনাগার থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে  জানা গিয়েছে, গত ১৬ মার্চ পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় রোশন কুমার শাহ। মঙ্গলবার বাথরুমে যাওয়ার নাম করে ফলস সিলিং ভেঙে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। 


অপরদিকে, গতবছর আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে এইভাবেই পালিয়ে গিয়েছিল এক বিচারাধীন বন্দি। জেল সূত্রে খবর, চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ায়  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বন্দি নন্দিল ভিবলোরকে। রাখা হয়েছিল বিশেষ সেলে। সেখান থেকেই পালায় ওই বন্দি। খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, সালানপুরের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে পুরুলিয়া ও আসানসোলে একাধিক চুরির অভিযোগ ছিল। 


আরও পড়ুন, 'রেশনের আটায় বালি' ! দলীয় কর্মসূচীতে গিয়ে অভিযোগের মুখে মন্ত্রী


প্রসঙ্গ আলাদা হলেও গতবছর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি ঘটনা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) এক প্রসূতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) সন্দেশখালির বাসিন্দা, ৩২ বছরের আছিয়া বিবি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিনই তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি,  দুপুর ১টা থেকে তাঁকে বেডে পাওয়া যায়নি। এর পরই খোঁজ শুরু হয়। বেনিয়াপুকুর থানায় দায়ের করা হয় নিখোঁজ ডায়েরি।


সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের পিছন থেকে আচিয়া বিবির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, কুকুর, ইদুরে খুবলে খাওয়ার চিহ্ন রয়েছে শরীরে। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মৃতের আত্মীয়রা। সকালে দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পিছনে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital)  প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছিল। নজরদারিতে গাফিলতির পাশাপাশি খুনের অভিযোগ করে মৃতের পরিবার।