সুদীপ চক্রবর্তী, ডালখোলা: দক্ষিণবঙ্গ থেকে সড়কপথে উত্তরবঙ্গ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে যাওয়ার একমাত্র পথ হল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। সদাব্যস্ত এই সড়ক পথেই পড়ে ডালখোলা রেলগেট। এখানে নিত্য যানজট মানুষের কাছে এক জ্বলন্ত সমস্যা। উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি, ডালখোলা বাইপাস তৈরি করতে হবে। ২০০৬ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার এই বাইপাস তৈরির অনুমোদন দেয়। দীর্ঘদিন পর জমি জট কাটিয়ে শুরু হয় ডালখোলা বাইপাস তৈরির কাজ। দুটো সেতু তৈরি হয়। এরপর কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। কিন্তু ডালখোলা বাইপাসের কাজ আর বিশেষ এগোয়নি।
বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ বছরই ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে যাবে ডালখোলা বাইপাস। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর কাছে নাকি সড়ক মন্ত্রকের নোটিস এসেছে। কিন্তু পেরিয়ে গেল ২৬ জানুয়ারি। ডালখোলা বাইপাসের কাজ এতটুকু এগোয়নি, উদ্বোধন তো দূরের কথা। বিজেপি জেলা সভাপতি এখন বলছেন, বাইপাসের একদিকের রাস্তা প্রায় সম্পূর্ণ। ডালখোলা ট্র্যাফিক পুলিশের অনীহার কারণে যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না।
যদিও জেলার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি, বিজেপি মানেই মিথ্যার ঝুড়ি আর প্রতারণা। বাইপাস নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীরাও জানিয়েছেন, গোটা একটা সেতু তৈরির কাজই বাকি আছে। ফলে ডালখোলা বাইপাসের কাজ সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেকদিন লাগবে।
করণদিঘির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম পাল বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘বিজেপির পক্ষ থেকে বড় বড় বুলি আওরানো হয়, কিন্তু বাস্তব কর্মক্ষেত্রে দেখা যায় যায় কোনও কাজই হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল ২৬ জানুয়ারি ডালখোলা বাইপাস উদ্বোধন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে একটা গোটা সেতু নির্মাণই বাকি পড়ে রয়েছে যা তৈরি করতে অন্তত ছয়-সাত মাস সময় লাগবে। অত্যন্ত মন্থর গতিতে কাজ চলছে। আসলে ডালখোলা পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ডালখোলাবাসীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতেই ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডালখোলা বাইপাস উদ্বোধনের কথা বলেছিল।’