সুনীত হালদার, ডোমজুড়: ভরা বাজারে ঢুকে, একের পর এক ব্যবসায়ীকে শাসানি। দোকানের সামনে ভিড় করে প্রকাশ্যেই জোর করে চলছে টাকা আদায়।
এই ভাইরাল ভিডিওটি হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি হাট এলাকার। যা নিয়ে সরগরম গঙ্গাপাড়ের জেলার রাজনীতি। ভিডিওটিরর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
অঙ্কুরহাটি হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, টাকা না দিলে এখানে ব্যবসা করার জো নেই! মহম্মদ হাবিব নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘ব্যবসা শুরু করতেই ১০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। হাটবারের দিন ৭০-৮০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। কার্ড রিনিউ করতে হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। গত ২ বছর কোভিডের জন্য ব্যবসা নেই। এভাবে টাকা দিলে খাব কি?’
ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি হাট এলাকায় মোট ৬-৭টি বাজার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সবকটি বাজারেই এভাবে অবাধে চলছে তোলাবাজি। শেখ মোরসেলিম নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘বেশ কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী ব্যবসা করার জন্য নেতাদের নাম করে আমাদের কাছ থেকে মোটা টাকা চাইছে। টাকা না দিলে জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে, লুঠ করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে তো আমাদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।’
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ নিজের নামে ফেস্টুন লাগিয়েছেন হাটে। তাতে বলা আছে, ‘কেউ তোলা চাইলে পুলিশ এবং প্রশাসনকে যেন জানানো হয়।’
ব্যবসায়ীদের দাবি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়েছেন তাঁরা। তোলাবাজি ঠেকাতে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাজারেই ব্যানার দিয়েছেন ওই তৃণমূল বিধায়ক।
বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘ব্যবসায়ীদের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। কিছু লোক নেতাদের নাম করে ফ্লেক্স দিয়েছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।’
হাটে এভাবে তোলাবাজি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছে বিজেপি। হাওড়া সদরের বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি ওমপ্রকাশ সিংহের কটাক্ষ, ‘নিজেরাই তোলা তুলছে, নিজেরাই পোস্টার দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সবই তৃণমূলের হাতে। তাহলেই বুঝুন কী চলছে!’