কলকাতা: আজ ৪ ফেব্রুয়ারি। সারা বিশ্ব জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে ক্যানসার দিবস (World Cancer Day 2022)। ক্যানসার (Cancer)। মারণ রোগ। বিভিন্ন রূপে এই মারণ রোগ আমাদের শরীরে হানা দিনে পারে। বিভিন্ন প্রকারের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইল খাদ্যাভ্যাসে সঠিক নজর না দিলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন কোন খাবার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হট ডগ, সালামি, সসেজ, হ্যাম বার্গার এবং আরও অন্যান্য প্রসেসড মিটজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রতিবছর এই প্রসেসড মিট খাওয়ার কারণে স্তন ক্যানসার, পাকস্থলীতে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


২. তেল মশলা দেওয়া ভাজাভুজিজাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। বেক করা, রোস্ট করা, টোস্ট করা এবং ফ্রাই করা এই সমস্ত ভাজাভুজি খাবারে যে ক্ষতিকর উপাদান থাকে, তা টাইপ টু ডায়াবিটিস এবং ওবেসিটির ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। যা পরবর্তীকালে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ক্যানসারের সম্ভাবনা কম করতে এই সমস্ত খাবারগুলিকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া প্রয়োজনীয়।


আরও পড়ুন - Valentine Week 2022 : ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহের ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি কবে কোন 'ডে' জানা আছে তো?


৩. গ্রিলড খাবার কিংবা বারবিকিউ খাবার জিভের স্বাদের জন্য হয়তো বহু মানুষেরই অত্যন্ত পছন্দের। কিন্তু জানেন কি এই সমস্ত খাবারই ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মারণ রোগ ক্যানসারের। 


৪. গবেষকদের মতে, বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুগ্ধজাত খাবারে প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে। দুধ, চিজ, দই প্রভৃতি দুগ্ধজাত খাবার প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।


৫. অত্যধিক চিনি দেওয়া বা শর্করাজাতীয় খাবারেও বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত শর্করাজাতীয় খাবার ওবেসিটির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। বাড়ে টাইপ টু ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও। এর মাধ্যমে ওভারিয়ান ক্যানসার, স্তন ক্যানসার এবং আরও নানা প্রকারের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।


৬. মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। জানা সত্বেও বহু মানুষ আজও মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না। এই মদ্যপানের কারণে বহু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।