সুদীপ চক্রবর্তী,  উত্তর দিনাজপুর: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই, বিভিন্ন জায়গায় দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। এর মধ্যেই ইসলামপুরে বিদায়ী পুর প্রশাসক সহ ১০ নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর, বহিষ্কৃত নেতারা কেউ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।কেউ আবার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেছেন। 



আরও পড়ুন :


আজ শিলিগুড়ি, আসানসোল , চন্দননগর , বিধানননগর পুরভোটের ফল ঘোষণা


২০১৯ সাল থেকে ইসলামপুর পুরপ্রশাসক ছিলেন মানিক দত্ত। এবারের পুরভোটে ১৬ ওয়ার্ডে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। কিন্তু, ওয়ার্ড পছন্দ না হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তিনি।  এর জেরে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় মানিক দত্ত সহ ১০ নেতাকে। দলীয় সিদ্ধান্তকে আমল দিচ্ছেন না বিদায়ী পুর প্রশাসক।

ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর পুরসভায় প্রার্থী হওয়া নিয়ে পুর প্রশাসক ও প্রাক্তন পুর প্রশাসকের সংঘাত বাঁধে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়  ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন পুর প্রশাসক মানিক দত্ত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও প্রাক্তন পুর প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরকেই প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। এরপরে প্রকাশ্যে আসে তালিকা । দেখা যায়, ১৬ ওয়ার্ডে মানিক দত্তকে টিকিট দেয় তৃণমূল। কিন্তু, ওয়ার্ড পছন্দ  হয়নি তাঁর। তারপরই ওয়ার্ড পছন্দ না হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী  হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। 


পুরভোটের মুখে ১০ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কারের প্রভাব ভোটবাক্সে পড়ে কিনা? সেটাই দেখার। 


 



অন্যদিকে আবার,  দিলীপ ঘোষ শহরে থাকাকালীন খড়গপুরে বিজেপিতে ভাঙন ধরল। তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার প্রায় ২০০ জন সদস্য।  খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটের প্রচার করছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেইসময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যোগদান মেলায় হাজির হন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার উপস্থিতিতে তাঁরা শাসকদলে নাম লেখান। বিজেপিত্যাগীদের দাবি, বিপদে পাশে দাঁড়ানোয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তৃণমূল নেতৃত্বের কটাক্ষ, দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এলেই দল ছাড়বেন বিজেপি কর্মীর। বিজেপি সাংসদের পাল্টা দাবি, পুলিশের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে দলবদল করাচ্ছে তৃণমূল।