সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বেলঘরিয়া : উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা, মৃত ৪ MBBS ডাক্তার। ভিনরাজ্যে দুর্ঘটনায় মৃত এই ৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১ জন পশ্চিমবঙ্গ, ১ জন ত্রিপুরার বাসিন্দা। আমরোহায় দুর্ঘটনায় নিহত বেলঘরিয়া নিবাসী চিকিৎসক অর্ণব চক্রবর্তী। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ চিকিৎসকের। গাড়ির ভিতরে আটকে ছিল ৪ চিকিৎসকের দেহ, খবর পুলিশ সূত্রে। 

Continues below advertisement

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন ডাক্তাররা, গাড়িতে মদের বোতল ও চিপস পাওয়া গেছে, খবর পুলিশ সূত্রে। ছেলে মদ্যপান করে না, গাড়িও চালাতে পারে না, দাবি মৃত চিকিৎসকের পরিবারের। 'দুর্ঘটনায় নিহত ৪ চিকিৎসক আমরোহার ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ ব্যাচের MBBS ছাত্র। MBBS শেষ করে ৪ ডাক্তার ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। ৪ ডাক্তার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন', খবর পুলিশ সূত্রে। 

উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় ৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল ২ বাঙালি সহ ৪ চিকিৎসকের। তাঁদের মধ্য়ে একজন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা অর্ণব চক্রবর্তী (২৫)। চারজনই ভেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। বুধবার রাতে তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি।ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ৪ চিকিৎসকের। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। যদিও অর্ণবের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলে নেশা করে না। এমনকী গাড়িও চালাতে পারে না। ঘটনায় শোকের ছায়া বেলঘরিয়ার চক্রবর্তী পরিবারে। 

Continues below advertisement

উত্তর প্রদেশের আমরোহায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। মৃত চিকিৎসকদের মধ্যে একজন অর্ণব চক্রবর্তী, বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন মোরাদাবাদে। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অর্ণবের বাবা। ৩ ডিসেম্বর বুধবার, অর্থাৎ গতকাল রাত পৌনে দশটা নাগাদ ফোন আসে অর্ণবের বাবার কাছে। জানতে পারেন ভয়ানক দুর্ঘটনার কথা। তারপর তিনি আবার ফোন করেন, তখন জানতে পারেন ছেলে মারা গিয়েছে। অর্ণবের বাবা জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে সপ্তর্ষি বলে একজন ছিলেন, যিনি অর্ণবের সঙ্গে এক ঘরে থাকতেন। ইন্টার্নশিপ প্রায় শেষই হয়ে এসেছিল অর্ণবের। বাকি ছিল মাস পাঁচেক। জুন মাসে কনভোকেশন হওয়ার কথা ছিল তাঁর। শীত কমলে মা-বাবার যাওয়ারও কথা ছিল অর্ণবের কাছে। বুধবার যে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেরোচ্ছেন, সেই ব্যাপারেও কিছু জানতেন না অর্ণবের বাবা। তিনি এও জানিয়েছেন, কলেজের থেকে খুব বেশি দূরে দুর্ঘটনা ঘটেনি। আপাতত অর্ণবের পরিবারের বেশ কয়েকজন গিয়েছেন উত্তর প্রদেশে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ নিয়ে আসা হবে বেলঘরিয়ায়।