সুনীত হালদার, হাওড়া: উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি ধসে আটকে পড়েছেন হাওড়ার কমপক্ষে ৫০ জন বাঙালি পর্যটক। তারা হাওড়ার ডোমজুড়, দাসনগর, আন্দুল,  রামরাজাতলা এলাকার বাসিন্দা।


১৫ অক্টোবর  হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ৫০ জনের একটি দল নৈনিতাল এর উদ্দেশে রওনা দেন। নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে গত ১৭ই অক্টোবর প্রবল বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ধসের কারণে তাঁরা আটকে পড়েন।কাচ্ছিধাম পর্যন্ত যাওয়ার পর তার আর উপরে উঠতে পারেননি। কার্যত বানচাল হয়ে যায় ভ্রমণ।


উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তায় যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সেখানেই তারা আটকে পড়েন। পরে বৃষ্টি থামলে নিচে নেমে আসেন। এই মুহূর্তে তারা নৈনিতালে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক মত কাজ না হওয়ার কারণে প্রথম কয়েক দিন বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলেও গতকাল থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।


 বৃষ্টি এবং ধসের কারণে রেললাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। আগামী শনিবার লালকুয়া স্টেশন থেকে হাওড়ামুখি ট্রেন ধরার কথা। এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছে বাড়ির লোকেরা। সকলে চাইছেন ঘরের লোক তাড়াতাড়ি ফিরুক ঘরে।


অন্যদিকে, হিমাচলের কিন্নরে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জন। ১৪ অক্টোবর, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী সংলগ্ন হরশিল থেকে হিমাচলের কিন্নর জেলার ছিটকুলের দিকে রওনা দেয় দলটি। হরশিল-ছিটকুল সংযোগকারী দুর্গম লামখাগা পাসে পৌঁছনোর পর থেকেই ট্রেকারদের সন্ধান মিলছে না। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, বন দফতর ও ক্যুইক রেসপন্স টিম। আইটিবিপি-কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত সংশোধিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বুধবার উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪। অন্তত পাঁচজন নিখোঁজ


 মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি  সকালে রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কুমায়ুন পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি জানান, রাজ্য জুড়ে “ব্যাপক ক্ষতি” হয়েছে ।  স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে। ত্রাণের কাজের জন্য জেলাশাসকদের প্রত্যেককে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।বিপর্যয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে ৪ লাখ টাকা করে।