পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের গুণকীর্তির পর্দাফাঁস করল পরিবার।
তার কাকার দাবি, বছরখানেক আগে ভোলবদলে কাঁকুলিয়ায় বাবার কাছে হাজির হয়েছিল ভিকি। এসেছিল স্যুট-বুট পরে, গাড়ি চড়ে। নিজেকে মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয় দেয় সে।
আত্মীয়দের সঙ্গে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছিল মাধ্যমিক ফেল ভিকি। একসঙ্গে থাকার কথা বলে বাবাকে ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে যায় সে। সেখানে নিয়ে গিয়েই বাবাকে খুনের চেষ্টা করে। দাবি ভিকির কাকার।
এদিকে, কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের দাবি, ছেলে ভিকির সঙ্গে মিলে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর বাড়ি থেকে লুঠপাটের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন ধৃত মিঠু হালদারই। পেশায় পরিচারিকা ওই মহিলাকে জেরা করে এমনটাই দাবি করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর পৈত্রিক বাড়ির কাছেই কাঁকুলিয়া রেল গেটের কাছে মিঠুর শ্বশুরবাড়ি। সুবীর চাকীর বাড়িতে কোনওদিন না গেলেও ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে রাস্তাঘাট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন মিঠু।
ফলে খুনের পর কীভাবে পালাতে হবে, বড় ছেলে ভিকিকে সেই পথ বাতলে দেন মিঠুই। গতকাল মহিলার ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রক্তের দাগ লাগা পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিঠু গ্রেফতার হলেও জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ভিকি এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: কর্পোরেট কর্তা সহ জোড়া খুনের কিনারা! গ্রেফতার মিঠু হালদার, তাঁর পলাতক ছেলের খোঁজ পুলিশের
কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুনের পর আততায়ীরা কোন পথে পালিয়েছিল তা জানতে জোড়া খুনে ধৃত মিঠু হালদারকে নিয়ে গতকাল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। মিঠুকে বালিগঞ্জ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়।