উত্তরাখণ্ড: উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) ১৭ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা, দাবি মুখ্যমন্ত্রী ধামির। ৫ থেকে ৬ মিটার পাইপ ঢোকানোর কাজ বাকি বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভার্টিক্যাল ড্রিলিং অর্থাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে ৫২ মিটার পর্যন্ত লম্বালম্বিভাবে গর্ত খোঁড়ার কাজ এগিয়েছে বলে দাবি।


ম্যানুয়াল ড্রিলিং অর্থাৎ মানুষ দিয়ে পাথর কাটার কাজও চলছে। গত দু’দিনে কোনও বড় বাধার মুখে পড়তে হয়নি উদ্ধারকারীদের। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের দ্রুতই উদ্ধার করা যাবে বলে তাঁদের আশা। আজ উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে হাজির হন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি


উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ১৭ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আশার কথা শোনালেন উদ্ধারকারীরাও। আর ৩ মিটারের মতো রাস্তা তৈরির কাজ বাকি। পুরোদমে কাজ চালাচ্ছে র‍্যাট মাইনার্স। শ্রমিকরা পাহাড় কেটে যে মাইক্রো টানেল তৈরির কাজ করছেন, সেই কাজ ৫৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে গেছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি আশাবাদী, যে কোনও মুহূর্তে মিলতে পারে সুখবর।এর মধ্যেই উত্তরকাশীতে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। তবে এর জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হবে না বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।


এর পাশাপাশি, ভার্টিক্যাল ড্রিলিং অর্থাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে লম্বালম্বিভাবে গর্ত খোঁড়ার কাজও চলছিল। সেখানেও ৫০ মিটারেরও বেশি অংশে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ। ভাইব্রেশন এড়াতে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং। সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে প্রস্তুত থাকতে বলে খবর পাঠানো হয়েছে। বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পোস্ট রেসকিউ টিমকে।  


শেষপর্যন্ত মানুষের হাতেই মানুষের মুক্তি মিলতে চলেছে। ৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সিল্কিয়ারা-বারকোটে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই পাথর কেটে মাইক্রো টানেল বসিয়ে সুড়ঙ্গে যাওয়ার পথ তৈরি করে দিলেন শ্রমিকরা। আজ সকালে শেষ হয় সেই কাজ। সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বিশেষভাবে তৈরি চাকা লাগানো স্ট্রেচারে শুইয়ে একে একে বের করে আনার কাজ শুরু করেছে NDRF।


গত ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারা-বারকোটের মাঝে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামায় আটকে পড়েন শ্রমিকরা। আমেরিকা থেকে আনা হয় অত্যাধুনিক খনন যন্ত্র অগার মেশিন। লোহা আর ইস্পাতের ভাঙা টুকরোর জঙ্গলে ধাক্কা লেগে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পাথর কাটার বিদেশি যন্ত্র। বারবার উদ্ধারকাজ ব্য়াহত হয়। এরপর শুরু হয় পাহাড়ের ওপর লম্বালম্বিভাবে গর্ত খুঁড়ে ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ। শেষ পর্যায়ে বাধাহীন ভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে র‍্যাট মাইনার্স। দ্রুত গতিতে শুরু হয় ম্যানুয়াল ড্রিলিং। অবশেষে সাফল্য মেলে। আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল অ্যাম্বুল্যান্স ও পোস্ট রেসকিউ টিম। শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।