অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: হাওড়া ( Howrah ) থেকে এনজেপি ( NJP ) দুরন্ত গতিতে ছুটছে বন্দে ভারত। ট্রেনের উদ্বোধনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ( Jay Shree Ram ) নিয়ে তরজা থেকে ট্রেনের উপর পাথর হানা, একের পর এক কারণে শিরোনামে বন্দে ভারত ( Vande Bharat ) এক্সপ্রেস। এরই মধ্যে আরও এক বড় খবর। এবার কি আরও একটা নতুন রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে বাংলা? রেল সূত্রে তেমনই খবর !
হাওড়া - পুরী বন্দে ভারত
রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, খুব শিগগিরিই জগন্নাথ ধামে যাত্রা শুরু করতে পারে দ্রুতগতির এই ট্রেন। সূত্রের খবর, আগামী মাসেই হাওড়া ( Howrah ) থেকে পুরী ( Puri ) চালু হতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চলতি বছরের শুরুতেই হাওড়া থেকে এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকেই কখনও বর্ধমান, কখনও বিহার, কখনও বা হুগলিতে, একাধিকবার ট্রেন লক্ষ করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সে নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। সেই আবহেই এবার নতুন একটি রুটে বন্দে ভারত পেতে পারে বাংলা।
উত্তরবঙ্গ যেমন বহু মানুষের প্রিয় পর্যটন স্থল, তেমনই পুরী। নীলাচলের প্রতি বাংলার মানুষের টান চিরন্তন। কেউ কেউ তো দু দিনের ছুটিতেও পুরী ঘুরতে যান। সেক্ষেত্রে যাত্রার সময়টা কম লাগলে তো কথাই নেই। অনেকেই এই রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করলে উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বন্দে ভারতে কী সুবিধে
ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত। গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার। তবে এখন চলে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে। রেল সূত্রে খবর, ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারতের সর্বাধিক গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তার পর রেললাইনের স্বাস্থ্যের কারণেই গতি আর বাড়ানো যায় না। দেশের বিভিন্ন মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে ব্যবহার করা হয় আলাদা ইঞ্জিন কোচ। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বুলেট বা মেট্রো ট্রেনের মতো রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন। আলাদা করে ইঞ্জিন কোচ জোড়ার দরকার নেই। সম্পূর্ণ শীততার নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে কোচের সংখ্যা ১৬। ট্রেনের দরজা স্বয়ংক্রিয়। দরজা তখনই খুলবে যখন ট্রেনটি পুরোপুরি থামবে। এবং যখন দরজা পুরোপুরি বন্ধ হবে তখনই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। প্রতি কোচে আছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। রয়েছে বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট। ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য দুই ধরনের ব্যবস্থা। জিপিএস-এর সাহায্যে কামরার স্ক্রিনে দেখা যায় কত গতিবেগে ছুটছে ট্রেন। জানা যাবে, পরের স্টেশনের নাম।