ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: রাতের অন্ধকারে কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) চেষ্টা। হাতেনাতে পাকড়াও করল বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। ভুয়ো চালান কেটে ইসিএলের খনি থেকে কয়লা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাক চালক যে চালান দেখান তাতে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির নাম ছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই কয়লা তাঁর নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন তিনি। সূত্রের খবর, তারপরই জেরায় ঝাড়খণ্ডে কয়লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্বীকার করে ট্রাক চালক। তাঁকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ।                         

  


কয়লা পাচারের চেষ্টা: বীরভূমের রাজনগর ও সদাইপুর থানা এলাকা থেকেও বিপুল পরিমাণ কয়লা উদ্ধার করা হয়। রেঙ্গুনি এলাকায় ৬টি মোষের গাড়িতে করে কয়লা পাচার করা হচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ টন কয়লা উদ্ধার করে সদাইপুর থানার পুলিশ। ঝাড়খন্ড লাগোয়া রাজনগরের গাংমুড়ি-জয়পুর অঞ্চলে ৪টন কয়লা-সহ একটি লরি আটক করে পুলিশ।                                                                           


এদিকে কয়লাপাচার (Coal Scam) রুখতে গিয়ে দিনকয়েক আগে আক্রান্ত হন সিআইএসএফ (CISF)। জখম সিআইএসএফ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার-সহ তাঁর গাড়ির ড্রাইভার। এই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই হলদিয়া থানায় এফআইআর করেছে সিআইএসএফ। ঘটনায় শাসকদলের (TMC) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে সোমবার রাতে কয়লা বোঝাই ট্রেন বন্দরে যাওয়ার সময় হলদিয়া থানা এলাকার চিরঞ্জীবপুরের কাছে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন দুই দুষ্কৃতী ওয়াগন খুলে কয়লা পাচার করতে থাকে। টহলরত সিআইএসএফ জওয়ান দেখতে পেয়ে বাধা দেয়। এমনকি দুজনকে তাড়া করে ধরেও ফেলে। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় রানিচকের কাছে ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী সিআইএসএফ-র দুটি গাড়িতে আক্রমণ করে। ভেঙে দেওয়া হয় দুটি গাড়ি। গুরুতর আহত হয়ে অ্যাসিন্টেন্ট কমান্ডার ও তাঁর গাড়ির চালক। ৯ জনের বিরুদ্ধে হলদিয়া থানায় এফআইআর করেছে সিআইএসএফ। 


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'এই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না,' বাংলায় 'হাতেখড়ি' নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের