অমিতাভ রথ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সত্যজিৎ বৈদ্য, ঝাড়গ্রাম: কুড়মি (kurmi) আন্দোলনের (agitation) জেরে স্তব্ধ (stalled) ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক (national highway), সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে ট্রাক (truck)। প্রভাব পড়েছে শাকসবজির (vegetables) বাজারে। ভিন রাজ্যে রফতানির জন্য রেখে দেওয়া সবজি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। ব্যাপক লোকসানের (loss) মুখে পড়েছেন কৃষক (farmer) ও ব্যবসায়ীরা (traders)।


কী পরিস্থিতি?
পাঁচ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। তার জেরে ভোগান্তি পশ্চিমাঞ্চলের। পুরুলিয়ার কুস্তাউর, পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে রেল অবরোধ। আটকে দেওয়া হয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতেও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে শুরু হয়েছে অবরোধ। চূড়ান্ত ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। একই সঙ্গে বাইরে থেকে যে সব কাঁচামাল আসে, সে সবও রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে সেগুলিও নষ্ট হচ্ছে। বাংলা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। যেমন ঝাড়গ্রামের জুবিলি মার্কেট। এখান থেকে প্রতিবেশি রাজ্যগুলিতে শাকসবজি যায়। কিন্তু আন্দোলনের জেরে ভিন রাজ্য থেকে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি আসতে পারেনি। আবার এ রাজ্য থেকেও গাড়ি অন্যত্র যেতে পারছে না। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঝুলন রায় নামে এক ব্যবসায়ীর কথায়, ' বিক্রিবাটা হচ্ছে না। দাম কম হচ্ছে।' তিনি আরও জানালেন, ঝাড়গ্রামের ১৫-২০ কিলোমিটার ভিতর থেকে সবজি আসে। কিন্তু এখন সব বন্ধ। একদিকে হাতির ভয়, তার উপর অবরোধ। সব মিলিয়ে জেরবার অবস্থা। আর এক ব্যবসায়ীর কথায়, ঘাটশিলা, চাকুলিয়া, গিধনির মতো জায়গায় যায় এখানকার কাঁচা আনাজ। আবার এদিকে বিনপুর, বেলপাহাড়িও আসে। অবরোধে সবটাই লাটে উঠেছে। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রিবাহী বাসও প্রায় বন্ধ। যে কটি চলেছে, তাতে বাদুরঝোলা ভিড়। পুজোর মুখে ঘরে ফিরতে গিয়ে তুমুল দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 


আজকের ছবি...
গত ২০ তারিখ থেকে চলছে আন্দোলন। তার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে খেমাশুলিতে পণ্যবাহী মালগাড়ি অবরুদ্ধ। খড়্গপুর-টাটা লাইনে ট্রেন চলছে না। এক ছবি চান্ডিল-আসানসোল লাইনেও। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্র, এখনও পর্যন্ত আড়াইশো ট্রেন বাতিল হয়েছে। এদিনও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনও। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি রুটের ট্রেন। যেমন খড়্গপুর-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ আদ্রাতেই শেষ করা হচ্ছে। এরকম আরও কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রাতেই শেষ হচ্ছে। তবে দক্ষিণ পূর্ব রেলের দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। বিপর্যস্ত জাতীয় সড়কও। কবে মিটবে ভোগান্তি? স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন:৫ দিন পার, কুড়মিদের রেল অবরোধ চলছেই