মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: তৃণমূল কর্মীর (tmc workers) বন্দুক (firearms) উঁচিয়ে গুলি করে দেওয়ার হুমকি ভিডিও ভাইরাল নিয়ে তোলপাড় খনি (mine area) এলাকা। তবে খালি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
পাণ্ডবেশ্বর থানার সোনপুর বাজারি এলাকায় বাউরি পাড়ায় রবিবার রাতে এলাকায় তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত শুভজিৎ মন্ডল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, পুরনো কোনও ঘটনার জেরে রবিবার রাতেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে তাঁর ফের বচসা বাধে। অভিযোগ সেই সময়, বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করে দেওয়ার ভয় দেখান শুভজিৎ। পরে এলাকাবাসীই শুভজিৎকে ধরে ফেলেন। গোটা পর্বের একাংশের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওর সত্যাসত্য এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। তবে ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে হাতে বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই তৃণমূল কর্মী। কিছুক্ষণ পর তাঁর হাত থেকে সেই বন্দুক কেড়ে নেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে বন্দুক উদ্ধার করলেও শুভজিৎ মন্ডল পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
কী বলছে বিজেপি?
স্থানীয় বিজেপি নেতা পার্থ পালের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এই ভাবেই বন্দুক উঁচিয়ে তান্ডব করছে তৃণমূল। যদিও জোড়াফুল শিবিরের সুজিত মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, এই ঘটনার সঙ্গে যে জড়িত তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্ত যদি তৃণমূল কর্মীও হন, ছাড় পাবেন না। দল এই ধরনের ঘটনায় কাউকে প্রশ্রয় দেবে না, সাফ বার্তা তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, শাসকশিবির ও আগ্নেয়াস্ত্রের যোগাযোগের নিয়ে খবর আগেও শিরোনামে এসেছে। গত নভেম্বরেই যেমন, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের শাসনে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মিলেছিল বলে খবর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ শাসনের খামার রামেশ্বরপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সুকুর আলি নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতের ভেড়ি ও মাটির কারবার রয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য সুকুর আলি। যদিও এর পিছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখে তৃণমূল। তৃণমূল সরকারের সাফল্য শুধু বেআইনি অস্ত্র কারবারে, কটাক্ষ করেছিল বিজেপির। এর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মিষ্টি ব্যবসার আড়ালে পর্দাফাঁস হয় অস্ত্র কারবারের। এবার উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জালে শাসকদলের নেতা। সব ঠিক থাকলে সামনের বছরেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। এদিকে যত ভোট এগিয়ে আসছে, তত জেলায় জেলায় অস্ত্র উদ্ধারের ছবি ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন:কোন্নগরে ধুন্ধুমার, সুকান্তকে রিষড়ায় ঢুকতে বাধা, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের