শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : রবিবারের অশান্তির পর সোমবার সকালে রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল। জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। সরানো হয় জমায়েত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু বেলা বাড়তেই নতুন করে আবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 


'সুকান্তকে বাধা'
 

শুভেন্দু অধিকারীর পর, এবার রিষড়াকাণ্ডে আহত পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে উত্তরপাড়ার বেসরকারি  হাসপাতালে যান সুকান্ত মজুমদার। সকালে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর, বিজেপি বিধায়ককে দেখতে যান দলের রাজ্য সভাপতি। এরপর সুকান্তর গন্তব্য হয় রিষড়া। কিন্তু সেখানে ঢোকার আগেই কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয়। পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় সুকান্তর গাড়ি। এরপর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। ওঠে স্লোগান। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধরা জারি রয়েছে। তাই তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। 


'গাড়ি থেকে নামতে বাধা'


গতকালের ঘটনার পর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অভিযোগ, সেই কারণ দেখিয়ে গতকালের পর আজও আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও জেদ ধরে, তারা যাবেই।  


কী পরিস্থিতি আজ রিষড়ায় 

রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর আজও থমথমে রিষড়া। দোকানপাট বন্ধ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহলদারি।সকালে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চের পাশাপাশি, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর জন্য মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


রবিবার রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতারা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।