কলকাতা: SFI কর্মীদের ডেপুটেশন কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধমার কাণ্ড বেধে গেল বিদ্যাসাগর কলেজে। SFI কর্মীরা জোর করে কলেজের গেট খোলার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের মারে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ SFI-এর। কলেজের বন্ধ গেটের ওপার থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ইট, পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ ডেপুটেশন দিতে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে জড়ো হন SFI কর্মীরা। আদালতের নির্দেশের পরেও কলেজের ইউনিয়ন রুম কেন খোলা এই প্রশ্ন তুলে ও এতদিন ধরে নেওয়া ইউনিয়ন ফিজের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার দাবি জানিয়ে, বুধবার স্মারকলিপি জমা দিতে যান SFI-এর কর্মী সমর্থকরা। আগে থেকেই কলেজের গেট বন্ধ করে ব্যরিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। SFI কর্মীরা সেই গেটের দিকে এগোতেই গোলমাল বেধে যায়। পুলিশের মারে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ SFI-এর। কলেজের বন্ধ গেটের ওপার থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ইট, পাথর ছোড়ে বলেও অভিযোগ তাঁদের। SFI-এর কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক দিতিথি রায় জানান, "তৃণমূলের আশ্রিত মদতদাতা পুলিশ, তাঁরা প্রথমে আমাদের ধাক্কাধাক্কি করা শুরু করে, ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ প্রথমে শুরু করা হয়। আমাদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়, তারপর আমাদের ঝান্ডা, আমরা যখন গেটে বাঁধছিলাম, তখন পুলিশ তাঁদের এসে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে, তৃণমূল এসেছিল আমাদের ছেলেদের মেরেছে, ভিতর থেকে লাঠি দিয়ে মেরেছে।'' পাল্টা কলেজে অধ্যক্ষ নাতাশা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, "যেদিন থেকে কোর্টের রায় বেরিয়েছে, পরের দিন থেকে ইউনিয়ন রুম বন্ধ। কলেজের কোনও ছাত্র কথা বলতে আসেন নিশ্চয় কথা বলতে পারি। কিছু উৎসাহী ছেলে মেয়ে কলেজের পাঁচিলে উঠে পতাকা ছিঁড়েছেন, কলেজ নিয়ে কটূক্তি করেছেন। বহিরাগতদের কোনও জবাব দেওয়ার দায় কতৃপক্ষের নয়। কলেজের কেউ হলে অবশ্যই কথা বলতাম। পরীক্ষার সময় এই ঘটনা খুবই অনভিপ্রেত।'' ঘণ্টাখানেক পর কলেজের সামনে থেকে সরে যান SFI কর্মী-সমর্থকরা। তারপর কলেজের গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপরেই নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। বিদ্যাসাগর কলেজের গলি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ১৫ থেকে ২০ জন ছেলেকে। সকলের হাতেই বাঁশ, লাঠি ছিল। কলেজস্ট্রিটের যেদিকে SFI কর্মী, সমর্থকরা গেছিলেন, সেদিকেই এগোতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু এবিপি আনন্দের ক্যামেরা দেখতেই বাঁশ, লাঠি ফেলে দেন সকলে। দাবি করেন, ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছেন। কলেজে অধ্যক্ষ নাতাশা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, "আমাদের ৩ শিফটে কলেজ হয়, ঢোকার ৪ থেকে ৫টা রাস্তা, কে কোথা থেকে কীভাবে যাচ্ছে বোঝা সম্ভব নয়। ৫টায় আমাদের কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। ৫ পরে কেউ অন্য গেট গেট ঢুকে এই গেট দিয়ে বেরোয়, তার এই কলেজের ছাত্র না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।''