কলকাতা : রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য আপাতত বন্ধ হচ্ছে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু ( 2nd Hooghly Bridge ) । কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্রান্স থেকে এসে পৌঁছয়নি সেতুর ( Vidyasagar Setu )  রোপ পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্র।


ফ্রান্স থেকে যন্ত্র আসা নিয়ে সংশয়


কলকাতা পুলিশের তরফে বিকল্প তারিখ দেওয়া হয়েছিল ৬ ও ৭ মে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও ফ্রান্স থেকে যন্ত্র আদৌ এসে পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সেই কারণে এখনই বন্ধ হচ্ছে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এর আগে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির জন্য ২৯ ও ৩০ তারিখ এই সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। সেই অনুযায়ী, বিকল্প পথও ঠিক হয়। ঠিক হয়েছিল - 



  • বেহালা-আলিপুরের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে হসপিটাল রোড, ধর্মতলা, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়, টালা সেতু, বি টি রোড হয়ে নিবেদিতা সেতুতে পাঠানো হবে।

  • টালিগঞ্জ-ভবানীপুরের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে এক্সাইড মোড়, ধর্মতলা হয়ে নিবেদিতা সেতুতে পাঠানো হবে ওই একই রুটে।

  • বন্দর এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলিকে হেস্টিংস মোড় দিয়ে ঘুরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড, কিংস ওয়ে, ধর্মতলা হয়ে পাঠানো হবে।

  • ছোট গাড়িকে সেতুতে উঠতে দেওয়া হবে না। সেগুলি যাতায়াত করবে স্ট্র্যান্ড রোড এবং হাওড়া সেতু হয়ে।


আরও পড়ুন


প্রবল গরমে ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ ! এড়িয়ে চলতে হবে এই কাজগুলি


মেরামতির জন্য গত নভেম্বর মাসে প্রায় দেড়মাস, সাঁতরাগাছি উড়ালপুলে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাঁতরাগাছি ব্রিজের এক্সপ্যানশন জয়েন্টে সমস্যা। মেরামতির জন্য ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উড়ালপুলে যান নিয়ন্ত্রণ হয়। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকছিল উড়ালপুল। বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাওড়া সিটি পুলিশ। এর ফলে চরম ভোগান্তি বাড়ে।  হাওড়া থেকে কলকাতায় ঢোকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সাঁতরাগাছি উড়ালপুল। তেমনই দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতু।                        

গত বছর এর জেরে জেরে চরম হয়রানির শিকার হন ট্রাক চালকরা। সকাল থেকে হুগলির বিভিন্ন রাস্তায় আটকে দেওয়া হয় পণ্যবাহী গাড়ি। দিনভর অপেক্ষার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন চালকরা। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ডানকুনি সংলগ্ন এলাকায় যানজটে নাকাল হন। এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু রাতে বন্ধ থাকলে তার জেরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন।   তবে আপাতত সেতু বন্ধ থাকছে না। 


আরও পড়ুন :                  


মাছ খান না? ডিমে অ্যালার্জি? প্রোটিন মিলবে কীভাবে?