কলকাতা: সুষম আহারের জন্য সবরকম পোষক পদার্থ (Nutrients) প্রয়োজন। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া (Metabolism) ঠিকমতো চালাতে গেলে প্রয়োজন প্রোটিন (Protein) থেকে ভিটামিন (Vitamin)- সবই। পুষ্টির মাধ্যমে মানবদেহের হাড় ও পেশির গঠন ভাল হয়। পেশির গঠন এবং আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালানোর জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সস্তায় প্রোটিন পেতে ভরসা করা হয় ডিমের উপর। কিন্তু সবাই ডিম খান না, অনেকের অ্যালার্জি রয়েছে। তাহলে তারা কী খাবেন?
প্রোটিনের (Protein) অন্যতম উৎস কিন্তু আনাজও। বেশ কিছু আনাজ রয়েছে যা পর্যাপ্ত প্রোটিন দিতে পারে। নিরামিষ উৎস থেকে মেলা প্রোটিনও অত্যন্ত কার্যকরী। সেটাও আমিষ উৎস থেকে মেলা প্রোটিনের মতোই কাজ করবে। সেই তালিকায় কী কী আছে?
সয়াবিন:
প্রোটিনের অন্যতম উৎস সয়া (Soybean)। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের গুরুত্ব রয়েছে। ১০০ গ্রাম সয়াবিনে ৩৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যা ডিমের বিকল্প হতে পারে। সয়াবিন দুধ থেকে প্রোটিন মেলে। বিভিন্ন তরকারিতেও ব্যবহার করা যায় সয়াবিন।
ডাল:
মুগ বা মুসুর। বিভিন্ন ধরনের ডাল (Lentil) খেয়ে থাকি আমরা। এগুলিও প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নিরামিষ যাঁরা খান তাঁদের প্রোটিনের জন্য় ডায়েটে রাখতেই হবে বিভিন্ন ধরনের ডাল।
ছোলা বা মটরশুঁটি:
কাবলি চানা (Chickpea), ছোট চানা, ছোলা বা রাজমা-বিনস। এই সবগুলির উপরেই ভরসা করা যায় প্রোটিনের জন্য়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই আনাজ পাতে রাখলে প্রয়োজনীয় প্রোটিন মিলবেই। এছাড়াও আরও একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে এতে।
চিয়া বীজ:
ভরপুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে চিয়া বীজে (Chia Seeds)। এছাড়া, শরীরে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য করে। স্মুদি বা কোনও সুপে চিয়া বীজ ব্যবহার হয়। অনেকসময় জলে ফেলে, সেই জল খাওয়া যায়। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি-ও। এই বীজে ভালমাত্রায় প্রোটিনও রয়েছে।
কিনোয়া:
বাকিগুলির তুলনায় বেশ কিছুটা দামি এটি। ওজন কমাতে গেলে ডায়েটে কিনোয়া রাখা হয়। এতে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। অর্থাৎ প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। ১০০ গ্রাম কিনোয়ায় ১৬ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?