অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: লেক কালীবাড়িতে (Lake Kalibari) বিশ্বকর্মা পুজো (Viswakarma Puja)। ২০০২ সাল থেকে বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে লেক কালীবাড়িতে। এর মধ্যেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে লেক কালীবাড়ি। বসানো হচ্ছে ৯৯ জন দেব-দেবীর মূর্তি।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল। রাজ্য জুড়ে সাড়ম্বরে হল বিশ্বকর্মা পুজো। রীতি মেনে বিশ্বকর্মা পুজো হল লেক কালীবাড়িতেও। ২০০২ সালের ১৪ অগাস্ট লেক কালীবাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। সেই বছর থেকেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে আসছে লেক কালীবাড়িতে।
প্রসঙ্গত, দেবশিল্পীকে বিশ্বকর্মা নামেই উল্লেখ করা হয়েছে পুরাণে। রামায়ণে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বিশ্বকর্মা যাবতীয় দিব্যাস্ত্রের নির্মাতা। এই সকল অস্ত্র তিনি মহর্ষি বিশ্বামিত্রকে দান করেন। বিশ্বামিত্রের কাছ থেকে রামচন্দ্র সেই সব দিব্যাস্ত্র লাভ করেন। পুরাকালে দক্ষিণ সমুদ্রের অন্তর্গত দ্বীপে অলৌকিক সুন্দর লঙ্কানগরীর নির্মাতা বিশ্বকর্মা এমনটাই জানা যায়। বিশ্বকর্মারই পরামর্শে সুমালী, মাল্যবান প্রভৃতি রাক্ষসরা লঙ্কানগরীতে রাজধানী স্থাপন করেন। রাবণের ব্যবহৃত পুষ্পক বিমানও বিশ্বকর্মারই অলৌকিক কীর্তি। বঙ্গদেশে ছেনি-হাতুড়ি হাতে হস্তিবাহন বিশ্বকর্মা পূজিত হলেও সারাভারতে বিশ্বকর্মার যে মূর্তি পূজিত হয় তা হংসবাহন ব্রহ্মারই মূর্তি। ত্বষ্টা এই ব্রহ্মা- বিশ্বকর্মারই রূপান্তর বা নামান্তর মাত্র।
আরও পড়ুন, রাবণের লঙ্কাপুরী-পুষ্পক রথ নির্মাতা বিশ্বকর্মা, কৃষ্ণের দ্বারকাও তৈরি দেবশিল্পীর হাতেই
এদিকে, নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে লেক কালীবাড়ি। বসছে মার্বেল। গঙ্গা, অন্নপূর্ণা, পার্বতী-সহ ৯৯ দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপিত হবে। ইতিমধ্যেই সন্তোষী মা, বগলামুখী-সহ একাধিক মূর্তি স্থাপিত হয়েছে।
মন্দিরের চার কোণায় থাকবে গণেশ, লক্ষ্মী, বজরংবলী এবং মহাকালের মূর্তি। গর্ভগৃহের দরজায় বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত মন্দিরের মূর্তি কাঠে খোদাই করা থাকবে। মা কালীর মূর্তির এক পাশে থাকবে মা দূর্গা এবং অন্যপাশে থাকবে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি। মন্দিরের চূড়ায় থাকবে পদ্মফুল। একশো লোক বসার মতো হল ঘর তৈরি করা হচ্ছে।