ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে অবশেষে হস্তক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। UNESCO হেরিটেজ ঘোষিত বিশ্বভারতীর ফলকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা উপাচার্যের নাম রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল। একই সঙ্গে ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষায় ফলক লিখতে বলা হয়েছে, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে। (Visva Bharati Plaque Row)
বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, ফলক পাল্টানোর নির্দেশ কেন্দ্রের
ফলক বিতর্কে মঙ্গলবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তাতে পরিষ্কার ভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্যের নাম রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ফলব বসানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ফলকে শুধু ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষার ব্যবহার করতে বলা নিয়ে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। (Visva Bharati University)
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, এখানকার মানুষের ভাষা বাংলা। বিশ্বভারতীতে বাংলাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই ফলকের লেখায় বাংলা থাকলে ভাল হয়। এ নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি, যাতে ফলকে ইংরেজি, হিন্দির পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা থাকে। এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক এবং রেজিস্ট্রার। সেখানে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারছেন তাঁরা। সেই আবহেই আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিয়বাবু।
ফলক পাল্টানোর নির্দেশ দেওয়ায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। ভাষার ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, "বাংলায় বাংলা লেখা জরুরি। যে রাজ্যের যা ভাষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষাও বাংলা। এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।" এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।
ফলকে শুধু ইংরেজি এবং হিন্দি লেখার নির্দেশ, বাংলা কেন বাদ, উঠছে প্রশ্ন
মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দেওয়া হয় বিশ্বভারতীকে, তাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন ফলক বসাতে হবে, যাতে আচার্য এবং উপচার্যের নাম থাকবে না। ফলকে তিনটি প্রতীকচিহ্ন রাখতে হবে, প্রথমটি UNESCO-র, দ্বিতীয়টি দেশের জাতীয় প্রতীক এবং তৃতীয়টি বিশ্বভারতীর। লেখা ঠিক করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে পাঠাতে হবে। সেটি অনুমোদিত হলে তবেই বসানো যাবে। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।