সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পৌষ মেলার (Poush Mela) জন্য মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বভারতীকে হলফনামা পেশের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের (Divison Bench)।                                                              


মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতে এদিন বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয়, শর্তসাপেক্ষে বিগত বছরগুলোতে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। ব্যবসায়ীরা-সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা শর্ত মানার উৎসাহ দেখায় না। পরিবেশ আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি থাকলে মেলা হবে ন। কিন্তু জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করা হয়। দরকার হলে আদালত সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পথ বা বাতলে দিক।’’                                                                                                                    


২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল পৌষমেলা Poush Mela 2021)। করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরেও গত বছর শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লীর পৌষ মেলা মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ খানিকটা আয়ত্তে এলে, রীতি মেনে ছোট করে হলেও মেলা হোক চাইছিলেন আশ্রমিকরা। বোলপুরের (Bolpur) ডাকবাংলো মাঠে (Dakbanglow ground) শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) পৌষমেলার বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে পরম্পরা মেনেই ৬ পৌষ থেকে ৯ পৌষ পর্যন্ত সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত, মেলার আয়োজন করতে চেয়ে ২২ নভেম্বর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। মেলা আয়োজনের আগে জানানো হয়েছিল, বিশ্বভারতী (Viswabharati) কর্তৃপক্ষ জল, বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে পৌষমেলা (Poush Mela 2021) করতে আপত্তি নেই। বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) চিঠির উত্তরে জানায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। 


আরও পড়ুন: WBBPE: কেউ পেয়েছেন ১০৯ শতাংশ, কেউ ১০০ ; পূর্ণমানের চেয়েও বেশি প্রাপ্ত নম্বর !