কলকাতা: বকেয়া আদায় করতে দিল্লিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়েছেন সবে। সেই আবহেই আচমকা নবান্নে হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হঠাৎ কেন নবান্নে হাজির শুভেন্দু, তা নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। নবান্নের বাইরে এই মুহূর্তে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এখনও নবান্নের ভিতরে রয়েছেন, সেখানে কী চলছে, এখনও তা নিয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। তবে এই মুহূর্তে তৎপরতা তুঙ্গে নবান্নে। (Suvendu at Nabanna)


বুধবার সকালে প্রথমে বিধানসভায় ঢুকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। তার পর শঙ্কর ঘোষ এবং বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে হাজির হন।  আচমকা বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছে যাওয়ায় গোটা এলাকাজুড়ে সাজো সাজো রব। তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হল বাড়তি পুলিশকর্মী। নবান্নের গেটে মোতায়েন বাড়তি মহিলা পুলিশকর্মীও।  তবে প্রশাসনকে কিছু বুঝতে না দিয়ে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই শুভেন্দু নবান্নে ঢুকেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।


এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, নবান্নে ভিজিটর্স রুমে রয়েছেন। তাঁর হাতে রয়েছে একটি পোস্টার। তাতে লেখা রয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের বরাদ্দ কয়েক গুণ বেড়েছে। আগে বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানে তা কয়েক গুণ বেড়েছে। গ্রাম সড়ক যোজনায় আগে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে ১১ হাজার ৫১ কোটি টাকা।  


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব আপনাকে’, নবান্নে হাইভোল্টেজ ড্রামার পর মমতাকে বার্তা শুভেন্দুর


এদিনই দিল্লিতে মোদি-মমতার সাক্ষাৎ হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে মমতা জানান, ১০০ দিনের কাজের একটি পয়সাও রাজ্যকে দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত ব্যাখ্যা তুলে ধরার পরও টাকা বন্ধ করে রেখেছে। এ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হবে বলেও জানান মমতা। কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য, জানিয়েছেন তিনি।


মোদি-মমতার বৈঠকের আগে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। জানান, রাজ্যের বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি নিয়ে অবহিত করেছেন তিনি।  কেন্দ্রের দেওয়া টাকা অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু।