অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মৌলিক ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ফের রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি (BJP)। আইনশৃঙ্খলা থেকে দুর্নীতি, একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে বৈঠক করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধীর তরজা। 


রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে স্কুলের নিয়োগ এবং আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এরকম একাধিক ইস্যুতে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য় রাজনীতি। জল গড়িয়েছে আদালত অবধি। এবার এ নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল বিজেপি।


এ বার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হল বিজেপি


বুধবার রাজভবনে গিয়ে সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত বলেন, "আবাস যোজনা থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা যে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, সেই সমস্ত বিষয় ওঁর কাছে তুলে ধরেছি।"


রাজভবনের বাইরেল সুকান্ত আরও বলেন, "রাজ্যের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে যে সব বিষয় চলছে, সংবিধান মানা হচ্ছে না, তা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। পুরোটাই জানেন তিনি। কোচবিহারে আলুর ক্ষেতে বোমা উদ্ধার থেকে গণধর্ষণের অভিযোগ, সব কিছুই তাঁর গোচরে রয়েছে।"



আরও পড়ুন: Contai Tender Scam case: কাঁথি শ্মশান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রামচন্দ্রকে জামিন, স্ত্রীকে CRPF নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ, সিবিআই-কে তদন্তভার কোর্টের


এ নিয়ে যদিও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "ওঁরা মনোকষ্টে রয়েছেন। আগের রাজ্যপালকে মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন মানসিক ভাবে হতাশ। কারণ দেখছেন, এই রাজ্যপাল আগের জনের মতো কাজ করছেন না।"


যদিও শুভেন্দু বলেন, "বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী দলের রাজ্যের প্রধান রাজ্যপালের কাছে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক! প্রশ্ন-ইতিবাচক কিছু পেলেন? উত্তর- হাওড়া বিলে সই হয়েছে? আচার্য কি মুখ্যমন্ত্রী হলেন? এত ঘাবড়ানোর কী আছে!"


এ নিয়ে যদিও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল


অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন ওঁরা । ওঁদের কাজ করতে দিন। উনি দেখা করতেই পারেন। আমরা দেখা করতে চাইলে, নিশ্চয়ই আমাদের কথাও শুনবেন।"


সব মিলিয়ে এ দিন বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি বেলা সওয়া ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রাজভবনে ছিলেন। তা নিয়ে নানা তত্ত্ব উঠে আসছে রাজনৈতিক মহলে।