কলকাতা: ট্রেনের সময়সীমা (Local Train Schedule) ঘিরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি। তার জেরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা স্টেশনে স্টেশনে। হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কিতে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহতও হলেন একাধিক মানুষ। দমদম, বারুইপুর, ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে এমন একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক মহিলাও।
সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে আংশিক বিধিনিষেধ (COVID Rules) চালু হয়েছে। তাতে প্রথমে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্তই লোকাল ট্রেন চলবে বলে ঠিক হয়েছিল। তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে সোমবার বিকেলে ট্রেনের সময়সীমা ৩ ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত করা হয়। রাজ্যের পরামর্শেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় রেল।
কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বিকেলে এই মর্মে লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও, যাত্রীদের কাছে সেই খবর পৌঁছয়নি। তাই আগের নির্দেশিকা মেনেই সন্ধ্যা ৭টার ট্রেন ধরতে ভিড় উপচে পড়ে স্টেশনগুলিতে। ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Kolkata Local Train Rescheduled: সন্ধেয় নয়, রাত ১০টায় লাস্ট লোকাল, যাত্রীদুর্ভোগ এড়াতে সিদ্ধান্ত
এমন পরিস্থিতিতে দমদম স্টেশনে সাড়ে ৫টার আপ বনগাঁ লোকাল থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন এক যাত্রী। ব্যারাকপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন এক মহিলা। বারুইপুর স্টেশনের কাছে এক মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে আঘাত পান। ডায়মন্ড হারবারেও ট্রেন থেকে পড়ে চোট পান এক মহিলা। ভিড়ের চাপেই ট্রেন থেকে তাঁরা পড়ে যান বলে দাবি প্রত্যদর্শীদের।
হাওড়া স্টেশনেও এ দিন তুমুল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হাওড়া-মেদিনীপুর শাখায় ট্রেন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। অভিযোগ ওঠে, বিকেল ৫টায় শেষ ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। তার পর আর ট্রেন মেলেনি। প্রথমে এ নিয়ে রেলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিক্ষোভ সামাল দিতে পরে হাওড়া স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেদিনীপুর স্পেশাল ছাড়বে বলে জানায় রেল।
কিন্তু ট্রেনের সময়সীমা বাড়ানো হলেও, স্টেশনে যাত্রীদের জন্য তা ঘোষণার ব্যবস্থা করা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যাত্রীদের একাংশের দাবি, ট্রেন পাবেন না বলে কাজকর্ম সেরে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। যদি আগে জানা যেত যে ট্রেনের সময়সীমা বাড়ছে , তাহলে পড়িমড়ি কের স্টেশনে ছুটতেন না মানুষ দুর্ঘটনাও এড়ানো যেত।