কলকাতা: এবার স্বাস্থ্য ভবনেই (Swathabhawan) করোনার হানা (Corona), ৬৬ জন আক্রান্ত। স্বাস্থ্য ভবনের ৬৬ জন কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ (Corona Positive) এসেছে। ১৩৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল কল্যাণীতে (Kalyani) তাঁদের মধ্যে ৬৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
উল্লেখ্য, করোনার থাবায় বন্ধ হল পার্ক স্ট্রিটে (Parkstreet) এসবিআইয়ের শাখা। ৪৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীর মধ্যে ৩৫ জনই সংক্রমিত। পরিস্থিতি দেখে, পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসের এসবিআইয়ের শাখা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেক্সপিয়র সরণির এসবিআই ব্রাঞ্চেও বেশিরভাগই সংক্রমিত। জানা গিয়েছে, সেখানে ৫০ জন কর্মীর মধ্যে ৪৬ জনই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও এখনও পরিষেবা জারি রয়েছে এসবিআইয়ের ওই শাখায়।
করোনা, ওমিক্রন আবহে কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এনআরএসে ৭০ জন চিকিত্সক-নার্সের করোনা। যার জন্য গোটা হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনআরএসে ১০ জন ইন্টার্ন ও চিকিত্সক, নার্স মিলিয়ে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-তে আক্রান্ত ১২ জন চিকিত্সক। ন্যাশনাল মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিত্সক ও চিকিত্সক মিলিয়ে প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা প্রায় ৩৬।
যেভাবে চিকিৎসক ও নার্সরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা। বৈঠকে স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখা নিয়ে রূপরেখা তৈরির পাশাপাশি, হস্টেল বন্ধ ও এমবিবিএস পাঠক্রমের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (National Medical College Hospital) বাড়ছে সংক্রমণ। চিকিত্সক (Doctors) ও স্বাস্থ্য কর্মী (Health Workers) মিলিয়ে ১৮৪ জন করোনা (Corona) আক্রান্ত। গতকাল নতুন করে ১০৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তালিকায় রয়েছে চিত্তরঞ্জন থেকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজও।