কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন (Manish Jain)। যদিও শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য (Calcutta High Court)। SSC-তে অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিবকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে আদালতে শিক্ষাসচিব
বুধবার শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতে প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেল করে আবেদন জানায় রাজ্য। সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়।
সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়ে রাজ্যের তরফে। তবে এ দিন সকালে আদালতে পৌঁছে যান শিক্ষাসচিব।
গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন। এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উপযুক্ত বেঞ্চের দৃষ্টি আক্রষণ করে, মামলার গুরত্ব রয়েছে জানিয়ে, আজই শুনানির আর্জি জানাবে রাজ্য। কিছুদিন আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে চারটি আবেদন জানানো হয়। তাতে অবৈধ এবং বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন জানায়। গতকাল আবার সেই আবেদন প্রত্যাহারে অনুমতি চাওয়া হয়। তাতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে লিখিত নির্দেশের প্রতিলিপি রয়েছে কিনা।
বিচারপতির দুই নির্দেশের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাজ্যের
কিন্তু কমিশনের তরফে দেওয়া অনুমতিপত্র মেলেনি। তাই কমিশনকে সামনে রেখে অন্য কেউ আবেদন করেছে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই সেগুলি বেনামি। তার নেপথ্যে কে রয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে সিবিআই-কে। একই সঙ্গে শিক্ষাসচিবকে আদালেত হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।