পূর্ব মেদিনীপুর: সমবায়-সংঘর্ষে নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী ! গতকাল রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম বিষ্ণুপদ মণ্ডল। নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনে বিজেপিকে নিশানা কুণাল ঘোষের। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। 


এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন,'বিজেপি হামলা করবে, সেই আশঙ্কা ছিল। পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানোও হয়েছিল। তারপরেও বড়সড় তাণ্ডব করেছে বিজেপি', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট কুণাল ঘোষের। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুর সফরের আগেরদিন নন্দীগ্রামে খুন হলেন তৃণমূলকর্মী।গতকাল সমবায় নির্বাচন ঘিরে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।  লাঠি -বাঁশ নিয়ে মারপিটের পাশাপাশি  বোমাবাজিও হয়েছিল।  কর্মী খুনের প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে টায়ার জ্বালিয়ে তৃণমূলের পথ অবরোধ।


গতকাল রাতে একই রকম ভাবে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।বিষুপদ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীর ছাতিতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে বিজেপি ,এমনটাই অভিযোগ।  যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এরপরে বিষ্ণুপদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।


মূলত গতকাল সমবায় নির্বাচন ঘিরে নন্দীগ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ভোট চলাকালীন বিজেপি-তৃণমূল সংঘাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। রাতে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। কোলাঘাটেও সমবায় নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির। দুপক্ষের বচসা থেকে ধস্তাধস্তির আকার নিয়েছিল। সমবায় ভোট চলাকালীন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কাঞ্চননগর দিদারুদ্দিন বিদ্যাভবন ভোট কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বচসার আকার নেয়। বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল কেন এই ভোটকেন্দ্রে আসবেন ? সেই নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছিল বচসা। 


আরও দেখুন, আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশ রওনা দিয়েছে কলকাতা দখলের জন্য : শুভেন্দু


 অপরদিকে, তমলুক ল্যান্ড কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ৬৯টি আসনে গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছিল তখন।কোলাঘাটের  দেউলিয়া হাই স্কুলে ভোট চলাকালীন,  বিজেপির অভিযোগ যে ভোট দান করতে আসার সময় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রাস্তা আটকে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।এবং বিজেপি সমর্থিত ভোটারদের স্লিপ ছাড়িয়ে তৃণমূলের স্লিপ হাতে দিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে বচসা ও ধ্বস্তাধস্তিতে গড়িয়ে ছিল বলে অভিযোগ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।