রুমা পাল ও ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: বাংলা নববর্ষে (Poila Baishakh) বেলুড়মঠে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। তাঁর হাত দিয়েই বেলুড় থেকে গঙ্গাজল পাঠানো হল কেরলের কোচিতে। সেখানে রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের শাখার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবের সূচনা হবে এই গঙ্গাজল ছিটিয়ে।  আগামী পয়লা মে রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস।  সেই উপলক্ষ্য়ে মিশনের ২৬৭ টি শাখায় শুরু হয়ে গেছে উদযাপন। তাতে শামিল হলেন রাজ্যপালও।


কোচিতে রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের শাখারও ৭৫ বছর পূর্তি এ বছর


কেরলের কোচিতে রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের শাখারও ৭৫ বছর পূর্তি এবছর। তারও উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্রবার থেকে। সেই অনুষ্ঠানের জন্য বেলুড় মঠের মায়ের ঘাটের পবিত্র গঙ্গাজল পাঠানো হল কোচিতে। 


শুক্রবার সকালে বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনে পা রাখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মাযের ঘাটের গঙ্গাজল রাজ্য়পালের হাত দিয়ে তুলে দেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। গঙ্গার জলপূর্ণ মঙ্গল কলসটি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে রক্ষিত ছিল। পরে তা তুলে দেওয়া হয় কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্য়ক্ষের হাতে। 


মঙ্গল কলসটি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে রক্ষিত ছিল


এই মঙ্গল কলস এবার পাড়ি দেবে কেরলের উদ্দেশে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "কেরলের সঙ্গে বাংলার যে মেলবন্ধন,  স্বামীজির হাত ধরেই তার সূচনা। আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে।" রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। তিনি জানিয়েছেন, কেরলের কোচির রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনে ছড়ানো হবে এই পবিত্র জল।


শনিবার পয়লা বৈশাখ। ১৪২৯-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪৩০। নতুন জামা, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতা৷ শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান-আড্ডা। নববর্ষের আবাহনে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ৷ কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন।


আরও পড়ুন: Raj Bhavan : নববর্ষের উপহার, জন সাধারণের জন্য খুলে যাচ্ছে রাজভবনের দরজা


হালখাতা, মিষ্টিমুখে ব্যস্ত শহরবাসী। সারা বছরের জন্য মঙ্গল কামনায় দর্শনার্থীদের ঢল কালীঘাটে।  রাত থাকতেই পুজোর ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন দর্শনার্থীরা। একে পয়লা বৈশাখ, তার ওপর আজ শনিবার। তাই ভিড়ের চাপও বেশি।