ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: শহরে একের পর এক দুর্ঘটনা, তারপর মৃত্যু। লাগামহীন যান-শাসন (Accident)। পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
প্রাণের বিনিময়ে ফিরল হুঁশ?
গত মঙ্গলবার ২ টি বাসের রেষারেষির বলি হতে হয়েছে খুদে ১১ বছরের স্কুল পড়ুয়া। আহত হয়েছে আরও এক শিশু। প্রতিবাদে মৃতদেহ নিয়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ভাঙচুর চালানো হয় বাসে। পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেক ২ নম্বর গেট এলাকা। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
গতকাল পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বৈঠকের পরেই তৎপর হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এবং অগ্নিদগ্ধদের ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এবং অগ্নিদগ্ধদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন একজন নোডাল অফিসার। প্রতিটি ঘটনা এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আহত ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত থাকলে, সেই তথ্য পুলিশের সাহায্যে যাচাই করে নথিভুক্ত করতে হবে ওয়েবসাইটে। ময়নাতদন্তের অনুরোধ মৌখিকভাবে নয়, পুলিশের কাছ থেকে লিখিতভাবে নিয়ে ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিন ভোররাতে প্রিন্সেপ ঘাটের বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। লাইটপোস্টে ধাক্কা মেরে গুরুতর জখম হন বাইক চালক ও তাঁর সঙ্গী। SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হলে বাইক চালককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ১৮ বছরের ওই তরুণ আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেনারের ধাক্কা মারে একটি পুলকার। দুর্ঘটনায় আহত হন গাড়ি চালক ও এক স্কুল ছাত্রী। একইদিনে আবার পিয়ারলেস হাসপাতালে কাছে পঞ্চসায়র রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচিলে ধাক্কা মারে একটি স্কুলবাস। বাসের ধাক্কায় আহত হন এক সাইকেল আরোহী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Malda School: গরহাজির ১০ জন শিক্ষক, অনিয়ম মিড ডে মিলেও, এবার ধমক খেলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক