কলকাতা : মাধ্যমিকে ৬৯৩ নম্বর পেয়ে প্রথম বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব গরাই। কোন পথে এই সাফল্য ? কীভাবেইবা স্কুলে গড়ে তোলা হয় ছাত্রদের, তা জানালেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী দিব্যনিষ্ঠানন্দ। এর পাশাপাশি অর্ণবকে নিয়ে প্রথম থেকেই তাঁরা আশাবাদী ছিলেন বলে জানান তিনি।


স্বামী দিব্যনিষ্ঠানন্দ বলেন, "অর্ণব প্রথম থেকেই আমাদের বিদ্যালয়ের ফার্স্ট বয়। আমরা আশাই করেছিলাম, ও এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে। ও যখন নরেন্দ্রপুরে চান্স পেল তখনই আমার আশাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। নরেন্দ্রপুরের মহারাজ জানান, ও উপরের দিকে রয়েছে। প্রথম তো প্রথমই। তার একটা আলাদা আনন্দ।"


সাফল্যের চাবিকাঠি কী ?


স্বামী দিব্যনিষ্ঠানন্দর মতে, "এখনকার সিলেবাস অনুযায়ী খুঁটিয়ে পড়তে হবে। সাফল্যের চাবিকাঠি তার কাছে তত বেশিভাবে ধরা দেবে। বই যারা পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে পড়ছে তাদেরই সাফল্য আসছে। এছাড়া কোনও পথ নেই।" 


আরও পড়ুন ; টেক্সট বই খুঁটিয়ে পড়া, করোনায় অনলাইন ক্লাস, মাধ্যমিকে প্রথম অর্ণবের সাফল্যের চাবিকাঠি


তিনি বলেন, "সত্যের জন্য সবকিছু ত্যাগ করা যায়, কিন্তু, কোনও কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা যায় না। এই পথটা খুব কঠিন পথ। কিন্তু, এটাই আমরা ছোটবেলা থেকে শেখাই। এর মধ্যে আত্মিক বিকাশ ঘটে, তা থেকেই সাফল্যের চাবিকাঠি খুঁজে পাওয়া যায়। ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য শিক্ষকরা তো সবসময় চেষ্টা করছেন। এর পাশাপাশি আশ্রমের যারা সাধু আছেন, তাঁরাও এসে ক্লাস নেন। ভারতের ধর্ম, সংস্কৃতি-মূল্যবোধের পাঠ দেন।"


কী বলছে অর্ণব ?


বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বাড়ি অর্ণবের। সে জানিয়েছে, করোনায় বাড়ি চলে যেতে হয়েছিল তাকে। সেই সময় স্কুলের স্যরেরা অনলাইন ক্লাস নিতে শুরু করেন। তাতেই পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছিল সে। সাফল্যের কৃতিত্বও স্কুলের শিক্ষকদেরই দিয়েছে সে। একাদশ-দ্বাদশে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছে অর্ণব।