রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা। ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি, বর্ধমানে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়, বড়ঞায় বাসিন্দা একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের। বুধবার, মুর্শিদাবাদেরই সাগরদিঘির বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং স্থানীয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ-সহ তৃণমূলের কয়েক জন নেতা মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা করার জন্য তাঁরা রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। অথচ, অন্যপথ দিয়ে মন্ত্রীকে নিয়ে আসেন তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহা।
আরও পড়ুন, বাংলায় বেলাগাম করোনা, ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা
এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মন্ত্রী সুব্রত সাহার গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি চলে। কয়েকজন দুষ্কৃতী অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ফলে সুব্রত জখম হন বলে সূত্র মারফত খবর। মন্ত্রীর গাড়ির উপর চড়াও উত্তেজিত জনতাখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই মন্ত্রীকে উদ্ধার করে। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বড়ঞার বিধায়কের দীর্ঘদিনের বিবাদ। এদিন, সেই বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহা বলেন, "মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। ব্লক সভাপতি, যুব সভাপতি বারবার বলেছে মন্ত্রীকে মার, এমএলএকে মার। আমি জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।"
অন্যদিকে, বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি, গোলাম মুর্শেদ জর্জ বলেন, "আমাদের বিধায়ক-মন্ত্রী, আমি কেন করতে যাব? মন্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, বিধায়ক রাজনীতি বোঝেন না, তাই বলেছেন। পুলিশ তদন্ত করুক।"