সত্যজিৎ বৈদ্য, রাজীব চৌধুরী, রঞ্জিত হালদার:  ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে ক্ষোভ গিয়ে পড়ল ইভিএমের উপর। সাত জেলার দশটা পুরসভায় চোদ্দটা ইভিএম ভেঙে দেওয়া হল!  অধিকাংশ ক্ষেত্রে আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। কোথাও আবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরও। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন বিজেপি প্রার্থীকে।


কোথাও হুড়মুড়িয়ে বুথে ঢুকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল EVM। কোথাও মেঝেতে পড়ে রইল ভোটযন্ত্র। মাটিতে ভেঙে পড়ে EVM। কোথাও আবার EVM ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলল। ৭ জেলায় ১০টি পুর এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়ছে ১৪টি ইভিএম।


ভোট চলাকালীন জঙ্গিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে, এভাবেই ঢুকে পড়েন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা, কর্মী। বিজেপির মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষের উপস্থিতিতে চলে ইভিএম ভাঙচুর। ভোটের সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। 


রাজপুর বিদ্যানিধি স্কুল, সারদা বিদ্যাপীঠ ও হরকালী বিদ্যাপীঠের বুথে ইভিএম আছড়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। বারাসাতের চন্দনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি বেধে যায় তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
 


বসিরহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বুথে ইভিএম ভাঙচুর হয়। গ্রেফতার করা হয় ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুজয় চন্দ্রকে। একই ছবি ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডেও। শ্রীগান্ধী বিদ্যাপীঠে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। হালিশহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশের জেলা নদিয়ার হরিণঘাটার ২ নম্বর ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করা হয় ইভিএম।  গ্রেফতার করা হয় ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুরেশ শিকদারকে।  ভোট চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানে কালনার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ভাঙচুর হয় ইভিএম। কাঁথির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৮ নম্বর বুথেও ইভিএম ভেঙে দেওয়া হয়।  


আরো পড়ুন: রাজ্যে ১ দিনে করোনা আক্রান্ত ২১৫, সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা