বহরমপুর: সকাল থেকে বহরমপুরের (Baharampur) ভোটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দুপুর গড়াতেই ফের অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল বহরমপুরেক ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, সকাল থেকে দফায় দফায় সমস্যা তৈরি করেছেন অধীর চৌধুরী। এমনকী প্রায় ১ ঘণ্টা ভোট বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি বাড়তি এক ঘণ্টা ভোট দেওয়ার সময় দেওয়া না হলে অধীর চৌধুরীকে তাঁরা যেতে দেবেন না। সবমিলিয়ে ভোটের দিন বিকেলে ফের উত্তপ্ত হল বহরমপুর। 


এ দিন কংগ্রেস প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্ট জানান, তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। জমায়েত হয় কংগ্রেসের কর্মীরা। ভিড় করেন তৃণমূলের কর্মীরাও।  এ দিন অধীর চৌধুরি বলেন তিনি বলেন, 'মহিলাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মারছে, ওড়না, মোবাইল, চটি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাঁচাতে এসেছি। ভোট বন্ধ করিনি, ভিতরেও যাইনি, বুথের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। আমি মরতে রাজি আছি, মেয়েগুলোকে একা ছেড়ে যাব না।' এরপর আরও খবর আসে অধীর চৌধুরী আক্রান্ত। খবর ছড়াতেই দলে দলে ঘটনাস্থলে এসে জমা হন কংগ্রেস প্রার্থীরা।


আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022: জয়নগর-মজিলপুরে গুলি চলার অভিযোগ, 'এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি' দাবি তৃণমূলের


ভোটের সকালে ফের দফায় দফায় উত্তেজনা, অশান্তি, হিংসা। তাতে ফের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, ভোটগ্রহণের (West Bengal Municipl Election 2022)  নামে রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে (Municipl Election Violence)। আইন-কানুন কিছু মানা হচ্ছে না।


এ দিন বহরমপুর পুরসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সেখানকার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বুথে কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান অধীর। সেখানেই ভোটকে কার্যত প্রহসনের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।


এ দিন সকালে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় অধীর বলেন, ‘‘যা খুশি হচ্ছে। মহিলা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁর বন্ধু এজেন্ট হয়েছিলেন। তিনিও মহিলা। অথচ তাঁকেও মেরে বার করে দিয়েছে মস্তানরা। কোনও আইন মানা হচ্ছে না। ভোট তো হচ্ছে না, ভোটের নামে সন্ত্রাস হচ্ছে।’’