উত্তর ২৪ পরগনা: ডালখোলা (dalkhola) পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর মহম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে ধুন্ধুমার। তৃণমূলের (tmc) বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করা হয় তাদের ক্যাম্প অফিস। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। অবরোধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।


সূত্রের খবর, এদিন পুরভোটে সকাল থেকেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল। এদিন ডালখোলা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছিল প্রথমে। কিন্তু আচমকাই সেখানে বহিরাগতদের ভিড় বাড়ে। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে তৃণমূলের বহিরাগতরা ক্রমাগত ছাপ্পা ভোট দিতে ভিড় বাড়ায় সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপরই কংগ্রেসের এজেন্টদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই নাগালের বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু পুলিশ আসলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অবরোধ ওঠাতে শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করে পুলিশ। 


এদিকে, ভোটের শেষলগ্নে ডালখোলায় উত্তেজনা। বহিরাগতদের জমায়েত সরাতে পুলিশের তাড়া, লাঠিচার্জ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট। নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তৃণমূলের।


এদিকে, বুথ জ্যামের (Booth Jam) অভিযোগকে কেন্দ্র করে নির্দল (Independent Candiadate) ও তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোল। ধুলিয়ানের  (Dhulian) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১ নম্বর বুথে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 


রবিবার বকেয়া পুরভোট ঘিরে সকাল থেকেই অশান্তি, হিংসার খবর উঠে আসছে। তবে শুধু ওই এলাকাতেই নয়, এ দিন সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। জঙ্গিপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলের ৩টি বুথে ইভিএম ভাঙচুর। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের দাবি, ভাঙচুরের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে। অস্বীকার গেরুয়া শিবিরের। জঙ্গিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিদ্যাপাড়ায় রাজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের বাইরে সিপিএম প্রার্থী জিয়াবুল শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ভর্তি বাম প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।