কলকাতা: ‘আগামিকাল সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস, পরিবহণ সচল থাকবে, কেউ জোর করলে পদক্ষেপ নেবে পুলিশ,’ বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন ডিজিপি। কোথাও বুথে তাণ্ডব, কোথাও আক্রান্ত বিরোধী থেকে ভোটার। অবাধে বোমাবাজি। ঘটনার প্রতিবাদে কাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‍‍ধের বিরোধিতা করেছে বামেরা। যদিও ইস্যু সমর্থনযোগ্য বলেই জানাল কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর কথায় পরিস্থিতি থাকলে আমরাও বনধ ডাকতাম।


প্রার্থী থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বেধড়ক মারধর, ছাপ্পা ভোট! থেকে বুধ দখলের অভিযোগ! রক্তাক্ত হন পুলিশ কর্মীরাও! উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। পুরভোটে দিকে দিকে দেখা গেল অশান্তির এই সব চেনা ছবিই!


এর প্রতিবাদে, সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‍‍ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, গণতন্ত্রকে উপহাসে পরিণত করায়, কাল ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক। তাঁর কথায়, রাজ্যে শিল্প বলে নেই। স্বাভাবিকভাবে কতটা ক্ষতি হবে জানা নেই..কিন্তু গণতন্ত্রের ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। এই বন্‍ধ একান্ত আবশ্যিক।


ভোটে ‘বেলাগাম সন্ত্রাস’ সোমবার ১২ ঘণ্টা বন্‍‍ধের ডাক বিজেপির। অধীররঞ্জন চৌধুরী, বলেন, বনধের কারণটা সমর্থনযোগ্য...কারণ, পশ্চিমবঙ্গে আজ বেলাগাম সন্ত্রাস হয়েছে।


কেন্দ্রীয় কমিটির  সিপিএম সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, আজ যা হল তা খুবই খারাপ। বিপজ্জনক। গণতন্ত্রকে দলিত করা হয়েছে। এর নিন্দার ভাষা নেই। সারা দিন প্রতিবাদ লড়াইকে আমরা ছিলাম, সারাদিন বিজেপিকে দেখা গেল না, ৭৭ বিধায়কের বিরোধী দল, তারা হয়ে গেল ভ্যানিশ।


উল্লেখ্য, রবিবার (Sunday) ১০৮ পুরসভার (Municipality) ভোট শেষে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের ডিজিপির (DGP) বলেন, ‘রাজ্যে আজ কোথাও কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। জোর দিয়ে বলছি রাজ্যে সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।  এ দিন তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার ভোটে ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ‘কোনও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, দিনভর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। সামান্য উত্তেজনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।


ডিজিপির কথায়, ‘রাজ্যে (West Bengal Government) আজ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। রাজ্যে কোথাও গুলিবিদ্ধ হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। ছোটখাট ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু ভোট ভালভাবে হয়েছে। বাইরে থেকে পুলিশ আনার সময়েও যা ভোটের হার, এবারও তাই।’