আসানসোল : আসানসোল দক্ষিণের (Asansol South) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অগ্নিমিত্রা পালকে আটকে রাখার অভিযোগ। অগ্নিমিত্রা পালের বাড়ির সামনে আসানসোল কমিশনারেটের তরফে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। সেই কারণে পুলিশ তাঁকে নোটিস দিতে আসে। বলা হয়, তিনি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাইরে বেরোতে পারবেন না। যদিও তিনি তা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেছেন অগ্নিমিত্রা।


তিনি বলেন, "নোটিস আমি রিসিভ করিনি। কারণ, নোটিসে হয়তো এটাই বলা থাকবে যে, আমি আমার ওয়ার্ডের বাইরে বেরোতে পারব না। আমার কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে ঘুরতে পারব না। কাল রাতেও পুলিশ এসেছিল। ওরা বলেছে, ঘুরতে হলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নিতে হবে। আমি জানি না এটা কোথাকার নিয়ম ? আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমি কেন ঘুরতে পারব না ? আমি তো গিয়ে কোনও সমস্যা করছি না। আমি গিয়ে কার্যকর্তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। যদি কোনও রিগিং বা ঝামেলা হলে আমি তাঁদের পাশে দাঁড়াব। আমাকে আটকানোর জন্য এত তৎপর। কিন্তু, আজ বিভিন্ন জায়গায় দেখছেন, মোটর বাইকে তিনজন করে মুখ বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুভাষপল্লি স্কুলে বুথ দখল হয়ে গেছে। ওখানে ৫০ জন ছেলে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের ধরতে পারবে না। ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা মহিলা মোর্চার একজনের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় বুথ দখল হয়ে গেছে।"


আরও পড়ুন ; বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের বাইরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ


অন্যদিকে, আজ বুথ চত্বরে পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর নামে স্টিকার দেখা যায়। আসানসোলের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ছবি। চেলিডাঙ্গা হাইস্কুলের ঘটনা। পুলিশের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


প্রসঙ্গত, মিশ্র ভাষাভাষীর শিল্পশহর আসানসোলেও আজ পুরভোট।রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ১০৬টি। নিরাপত্তার দায়িত্বে ৩ হাজার ১৪২ জন পুলিশ কর্মী।


এদিকে আজ বিধাননগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চঞ্চলকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ভুয়ো ভোটারকে। নাম জিজ্ঞাসা করায় প্রথমে জানান রঞ্জিত দাস। অথচ ভোটার স্লিপে লেখা দেবাশিস ঘোষ। প্রশ্ন করায় নিজেকে একইসঙ্গে রঞ্জিত দাস ও দেবাশিস ঘোষ বলে পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে একরকম পালিয়েই যান ভুয়ো ভোটার। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বুথ কোথায় জানতে চাওয়ায় তাঁরা শুধু দেখিয়ে দিয়েছেন।