বহরমপুর: ভোটের সকালে ফের দফায় দফায় উত্তেজনা, অশান্তি, হিংসা। তাতে ফের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, ভোটগ্রহণের (West Bengal Municipl Election 2022) নামে রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে (Municipl Election Violence)। আইন-কানুন কিছু মানা হচ্ছে না।
এ দিন বহরমপুর পুরসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সেখানকার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বুথে কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান অধীর। সেখানেই ভোটকে কার্যত প্রহসনের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
এ দিন সকালে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় অধীর বলেন, ‘‘যা খুশি হচ্ছে। মহিলা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁর বন্ধু এজেন্ট হয়েছিলেন। তিনিও মহিলা। অথচ তাঁকেও মেরে বার করে দিয়েছে মস্তানরা। কোনও আইন মানা হচ্ছে না। ভোট তো হচ্ছে না, ভোটের নামে সন্ত্রাস হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: Barasat Municipal Election : আছাড় মেরে ভাঙলেন ইভিএম ! আটক অভিযুক্ত পদ্ম প্রার্থী
অধীরের দাবি, ওই ওয়ার্ডের বুথে কংগ্রেসের তরফে মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রবিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হলে ওই প্রার্থীর এজেন্ট মহিলাকে বুথে বসতে দেওয়া হয়নি। মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয় তাঁকে। তাতে ওই মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এজেন্ট অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ওই প্রার্থী নেজে বুথে এজেন্ট হিসেবে বসতে যান। কিন্তু তাঁকেও বসতে দেওয়া হয়নি বুথে। অধীর গেলে তাঁকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি, বরং বলা হয়, নিয়ম বিরুদ্ধে কাজ করছেন অধীর। তিনি বহিরাগত। বুথে ঢোকার অধিকার নেই।
জবাবে অধীর বলেন, ‘‘আমি আইন জানি। কিন্তু যে অবস্থা চলছে, তাতেই এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।’’ কংগ্রেসের এক বুথ এজেন্টকে মেরে কানও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল। শাসকদল (TMC) যদিও তা অস্বীকার করেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তা সত্ত্বেও হিংসা-অশান্তি এড়ানো যাচ্ছে না।তাতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।