নয়া দিল্লি: আগ্রাসনকারীদের রুখতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক সাহায্যের আর্জি। প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করার জানিয়েছে ভারত।


রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিভ! একের পর এক বহুতলে হামলা...রাজপথে রুশ ট্যাঙ্কের দাপাদাপি...রাশিয়ার হামলায় সেনা-সহ দুই শতাধিক ইউক্রেনবাসীর মৃত্যু...লক্ষাধিক ইউক্রেনবাসীর দেশত্যাগ....রাশিয়ার লাগাতার হামলায় ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এবার ভারতের কাছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাহায্য চাইল।


শনিবার এই অনুরোধ জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। মোদির সঙ্গে কথা নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্যুইটারে লেখেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে, আগ্রাসন সম্পর্কে জানিয়েছি। ১ লক্ষের বেশি বহিরাগত আমাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে। বসতবাড়ি লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে তারা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানিয়েছি। চলুন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে আগ্রাসনবাদীদের প্রতিরোধ করি।


আরও পড়ুন, রুশ কামান-ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তছনছ ইউক্রেন


দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলোচনার পর, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে, আলোচনার মাধ্যমে যাতে শান্তি ফেরানো যায়, সেজন্য যথাযথ ভূমিকা পালন করবে ভারত। রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে হাজার হাজার ভারতীয়। প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের কেউ আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে। কেউ দেশে ফিরতে চেয়ে ইউক্রেন সীমান্তে আটকে পড়েছেন। 


ভারতীয়দের এই দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ট্যুইটে লেখেন, প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে বাঙ্কারে থাকতে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। যাঁদের অধিকাংশই পূর্ব ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। উদ্বিগ্ন পরিবারগুলির কথা ভেবে চিন্তা হচ্ছে। তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
 
ইউক্রেনে আটকে থাকা বাঙালিদের দেশে ফেরানোর নিয়ে এদিন ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়া-সহ এ রাজ্যের বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাংলার ১৯৯ জনকে দ্রুত নিরাপদে দেশে ফেরাতে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে রাজ্য। শীঘ্রই মুম্বই এবং দিল্লি পৌঁছবেন কিছু ছাত্র। রাজ্য তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। ওই পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বিমানের টিকিট দেওয়ার পাশাপাশি, বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


যদিও ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধ! যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর দাবিতে এদিন পথে নামে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। পথে নামে এসইউসিও।