শিলিগুড়ি (দার্জিলিং) : রাজ্যে চার পুরসভা বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দনগরে পুরভোটের ভোট গণনা চলছে (West Bengal Municipal Election 2022 Results)। চারটি পুরসভাতেই ভোট গণনায় বিরোধীদের অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শিলিগুড়িতেও (Siliguri)এগিয়ে তৃণমূল। ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও অনেকটাই পিছিয়ে বামফ্রন্ট (Left Front)। শিলিগুড়িতে গত পুরভোটে জিতেছিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের (Congress) সমর্থনে পুরসভা চালিয়েছিল বামফ্রন্ট। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পুরভোটে তারা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে এবার শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতা দখলের পথে তৃণমূল। অন্তত ভোট গণনায় এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শিলিগুড়ির পুরভোটে তৃণমূলের এই সাফল্যের জন্য বামফ্রন্টকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার। তিনি বলেছেন, বামফ্রন্টের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও অশোক ভট্টাচার্যের অহংকারই ডুবিয়েছে। বারবার জোটের কথা বলেও তারা আগেভাগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেছে। জোট বেঁধে কংগ্রেস-বাম লড়াই করলে ভোটারদের আস্থার অর্জন করতে পারা যেত। কিন্তু বামফ্রন্টের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও অহংকারই ডুবিয়েছে।
তিনি বলেছেন, কোনও জোটই হয়নি। জোটের নামে ভাষণবাজি হয়েছে। গত দুই বছর ধরে বহুবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সিপিএম এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়।
শিলিগুড়িতে এবার নিজেও হেরে গিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। ছ'নম্বরে ওয়ার্ডে পরাজিত হলেন তিনি। উল্লেখ্য, এই ছ'নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বছর বছর জিতে এসেছেন অশোকবাবু। ওই ওয়ার্ডের ৩২ শতাংশ মানুষই সংখ্যালঘু। তাঁদের সমর্থনই সেখানে দিনের পর দিন ক্ষমতায় রেখেছে বামেদের। কিন্তু এ বছর বিধানসভা নির্বাচন থেকেই ছবি পাল্টাতে শুরু করে।
গতকালও পুরসভায় বামফ্রন্টের জয়ের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছিলেন, তাঁর কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে এবারও বামফ্রন্ট ভালো ফল করবে। বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনে কংগ্রেসের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। তাঁর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, দরকার হলে অবশ্যই কংগ্রেস বামফ্রন্টকে সাহায্য করবে।